ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

এভাবেই তালাবদ্ধ থাকে মেঘলাল কমিউনিটি ক্লিনিক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭
এভাবেই তালাবদ্ধ থাকে মেঘলাল কমিউনিটি ক্লিনিক মেঘলাল কমিউনিটি ক্লিনিক

গাজীপুর: প্রায়ই তালাবদ্ধ থাকে গাজীপুরের মেঘলাল কমিউনিটি ক্লিনিক। চিকিৎসক দরজা বন্ধ করে চলে যান ব্যক্তিগত কাজে। সরকারি চিকিৎসা না পেয়ে প্রায় দিনই ফিরে যেতে হচ্ছে রোগীদের। 

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১০ নং ওয়ার্ডের মেঘলাল কমিউনিটি ক্লিনিকের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।  

রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে মেঘলাল কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা গেছে, বেশ কয়েকজন রোগী ওই ক্লিনিকের সামনে ঘোরাঘুরি করছেন।

ক্লিনিকের জানালাগুলো খোলা তবে দরজা তালা বদ্ধ। কয়েকজন রোগী এসে ক্লিনিক বন্ধ দেখে ফিরে গেছেন। ক্লিনিকের বারান্দায় পড়ে আছে নামকরণের সাইনবোড। যা থাকার কথা ক্লিনিকের সামনে টানানো। বাহির থেকে চাকচিক্য মনে হলেও জানালা দিয়ে তাকালে তেমনটা মনে হচ্ছে না।  

এলাকাবাসী ও রোগীরা জানায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেঘলাল কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায় না। চিকিৎসকের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। কখন আসবে। ক্লিনিকের বারান্দায় টানানো আছে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চিকিৎসক বসেন। কিন্তু বেলা ১১টার পর্যন্ত তাল বন্ধ থাকে এ ক্লিনিক। তবে যদিও সপ্তাহে দুই তিন দিন চিকিৎসক আসেন কোনো দিন বেলা ১১টা আবার কোনো দিন ১২টায়। এক থেকে দুই ঘণ্টা থেকে জোহরের আযান কানে পৌছা মাত্র ক্লিনিক বন্ধ করে তালা দিয়ে চলে যান।  

সপ্তাহে কোন দিন খোলা থাকবে এ কমিউনিটি ক্লিনিক সেটাও নির্দিষ্ট করে কেউই বলতে পারে না। প্রায় প্রতিদিন ওই ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে হয় রোগীদের। নারী রোগীরা অনেক সময় ক্লিনিক বন্ধ দেখে পাশের আব্দুর রশিদ মিয়ার বাড়িতে চিকিৎসকের জন্য অপেক্ষা করে পরে চলে যান। চিকিৎসকরা তাদের দায়িত্ব বাদ দিয়ে চলে যান বাসায় ব্যক্তিগত কাজে।  

স্থানীয় বাসিন্দা মো. শাহবুদ্দিন পীর জানান, এখানে নিয়মিত রোগীরা স্থাস্থ্য সেবা পান না। অনিয়মিত ভাবে চলে মেঘলাল কমিউনিটি ক্লিনিক। প্রায়ই বন্ধ থাকে ক্লিনিকটি। সপ্তাহে দুই তিন দিন খোলা থাকে তাও আবার কয়েক ঘণ্টার জন্য। কোন দিন চিকিৎসক আসবে তা বলা মুশকিল।  

ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোপাইডার (সি এইচ সি পি) হেনা আক্তার জানান, রোববার সকালে ক্লিনিক খোলা ছিলো। রোগী না থাকায় দুপুর ১২টার দিকে বন্ধ করে চলে যান তিনি। তবে প্রতিদিন খোলা থাকে ক্লিনিক।  

ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী সাহিদা সরকার জানান, জেএসসি পরীক্ষার ডিউটিতে থাকায় আজ ক্লিনিকে যেতে পানিনি। তবে ক্লিনিক তো খোলা থাকার কথা।  

এ ব্যাপারে গাজীপুর সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি। শনিবার  থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকের নিয়মিত। যারা ক্লিনিকে স্বাস্থ্য সেবা দেন তাদের ট্রেনিং করানোর পর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সরকারিভাবে তাদের বেতন দেওয়া হয়। এ ক্লিনিকে কিছু ওষুধ ফ্রি দেওয়া হয়। টিকিট বাবদ ৫টাকা করে রাখা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১১০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭     
আরএস/বিএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।