সরেজমিনে দেখা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালটি ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট। যেখানে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রয়েছে মাত্র ১২টি বেড।
সদর উপজেলার সুন্দরপুরের বাসিন্দা জায়িদ বাংলানিউজকে বলেন, দ্বিতীয় রোজার দিন রাতে সেহরী খাবার পর হঠাৎ করে পেটে ব্যথা শুরু হয়। তারপর থেকেই ডায়রিয়া শুরু হলে হাসপাতালে এসে ভর্তি হই।
সদর হাসপাতালের কর্মরত স্টাফ নার্স আকলিমা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিন গড়ে ৩৫ জন করে রোগী হাসপাতালে আসছে। দিন দিন রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. নাজির আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলেন, এই সময়ে সব খাবারই টাটকা অথবা গরম করে খেতে হবে। বাসি-পচা খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। সেই সঙ্গে বিশুদ্ধ পানি অবশ্যই খেতে হবে।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. সায়ফুল ফেরদৌস খাইরুল আতার্তুক বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছর এপ্রিল ও মে মাসে ডায়রিয়াজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এসময় প্রচণ্ড গরম থাকার কারণে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ ও খাবার স্যালাইন রয়েছে। এছাড়া বেডের স্বল্পতা থাকায় সবাইকে বেড দিতে পারছি না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৯
এনটি