বুধবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা বিভাগে নতুন করে ৭৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। রোগীরা খুলনার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তরের হিসাব মতে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের ১০ জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ৭৬ জন।
জেলায় ২৪ ঘণ্টায় রোগী সংখ্যা ১৯ জন। এতে সবমিলে খুলনায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বিভাগে ৪৪০ এবং জেলায় সর্বশেষ সংখ্যা ১২১জন। এর মধ্যে বাগেরহাট বাদে সব জেলায় নতুন করে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এনিয়ে গত একমাসে খুলনায় ডেঙ্গু রোগী হলো ৪৩৩ জন। চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়েছেন ১৫০ জন।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত খুমেক হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৮২ জন। এখন চিকিৎসাধীন ৪৬ জন। এর মধ্যে দু’জন শিশু। খুলনা জেনারেল হাসপাতালে ৫ জন চিকিৎসাধীন ও একজন চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়েছেন।
এদিকে নগরীর বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাজী মেডিক্যাল কলেজে সাতজন, সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মোট ১৮ জন, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে তিনজন রোগীর ডেঙ্গু শনাক্ত করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. এসএম আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত খুমেক হাসপাতালে মোট ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয় ৮২ জন। এখন বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৪৬ জন। এর মধ্যে দু’জন শিশু ও খুলনা জেনারেল হাসপাতালে ৫ জন চিকিৎসাধীন। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও ডেঙ্গু চিকিৎসায় কোনো ধরনের অবহেলা করা হচ্ছে কি-না তা মনিটরিং করা হচ্ছে। কোথাও কোনো ধরনের গাফিলতি ও অব্যবস্থাপনা খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ডেঙ্গু রোগীরা অধিকাংশই ঢাকা থেকে আসা। বিভিন্ন কাজে ঢাকায় গিয়েছিল বা ঢাকায় বসবাস করেন এমন লোকজনই বেশি আক্রান্ত হয়েছে। তবে খুলনার স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে এবং চিকিৎসাসেবায় ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। ইতোমধ্যে মেডিক্যাল টিম গঠন, স্কুল-কলেজে অবহিতকরণ সভা, লিফলেট বিতরণ ও ব্যানার টানিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী কাজ চলছে। প্রতিটি জেলা পর্যায়ে লিফলেট তৈরি ও বিতরণ করা ছাড়াও বিভাগীয় পর্যায়ে এক হাজার লিফলেট ও ১০টি ব্যানার তৈরির কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ডেঙ্গুর ভয়াবহতার মধ্যেও চিকিৎসা ও টেস্ট নিয়ে ব্যবসার ফাঁদ পাতার অভিযোগে খুলনার ৮ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালকে ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০১৯
এমআরএম/এএটি