এ জেলায় ডেঙ্গু যাতে না ছড়ায় তার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গ্রামে-গঞ্জে প্রচার-প্রচারণা, শিক্ষার্থীদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা ও বিভিন্ন ব্যানার-পোস্টারও লাগানো হয়েছে।
ভোলার সিভিল সার্জন ডা. রথীন্দ্র নাথ মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, গত ১৪ দিনে শনাক্ত ২২ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ১৭ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এখনো ভোলা সদর হাসপাতালে চারজন ও চরফ্যাশনে একজন চিকিৎসাধীন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে জেলার ছয় শতাধিক স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় নেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি। ইতোমধ্যে দুই লাখ ৩২ হাজার ৯৮৬ জন শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। এখনো আরও এক হাজার চারটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে করা হবে সভা।
এদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রস্তুতি নেওয়া হলেও রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক কমেনি। রোগীদের চাপ লক্ষ্য করা গেছে ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে। জ্বরে আক্রান্ত রোগীরা সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন।
ডা. রথীন্দ্র নাথ মজুমদার বলেন, ডেঙ্গু শনাক্তের জন্য ডিভাইস পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু হয়েছে ভোলা সদর হাসপাতালে। আমরা ১২০টি ডিভাইস পেয়েছি। হাসপাতালে রক্তের পরীক্ষার মাধ্যেমে করা হচ্ছে ডেঙ্গু পরীক্ষা। এতে প্রাথমিকভাবে যাদের ডেঙ্গুর প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, তাদের এ ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে। ভোলা সদর, লালমোহন, তজুমদ্দিন, চরফ্যাশন এবং বোরহানউদ্দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
ভোলা সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের ডেঙ্গু আক্রান্ত কামাল মিয়া বাংলানিউজকে জানান, তিনি ঢাকায় কয়েকদিনের জন্য বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে জ্বরে আক্রান্ত হন। পরীক্ষা করে দেখেন তার ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে। তারপর থেকে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শুধু কামাল হোসেন নয়, তার মতো এখন অনেকেই ঢাকা থেকে ডেঙ্গু রোগের জীবাণু বহন করে আসছেন। আক্রান্ত হচ্ছেন ডেঙ্গু জ্বরে।
এদিকে জ্বরে আক্রান্ত হলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন রোগীরা। রক্ত পরীক্ষার জন্য ভিড় করছেন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। খুব শিগগিরই ডেঙ্গু শনাক্তের সরঞ্জাম জেলার সব হাসপাতালে দেওয়ার দাবি রোগী ও তাদের স্বজনদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৯
এসআরএস