ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

উদ্বোধনের অপেক্ষায় ভোলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০১৯
উদ্বোধনের অপেক্ষায় ভোলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল

ভোলা: চালু হতে যাচ্ছে ভোলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের যে কোনো সময় এ হাসপাতালের উদ্বোধন হতে পারে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এটি চালু হলেই জেলার ২০ লাখ মানুষ আরও উন্নত চিকিৎসা সেবা পাবেন এবং চিকিৎসার জন্য তাদের আর ঢাকা অথবা বরিশাল যেতে হবে না। নিজ জেলাতেই পাওয়া যাবে আধুনিক চিকিৎসার সব সুযোগ-সুবিধা।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, দ্বীপজেলা ভোলার মানুষের উন্নত চিকিৎসা সেবার কথা বিবেচনা করে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদের প্রচেষ্ঠায় এই ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের অনুমোদন হয়। এরপর সদর হাসপাতাল চত্বরের ১৪ একর জমির ওপর ২০১৪ সালের দিকে ৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭ তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

ইতোমধ্যে ভবনের শতভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এখন উদ্বোধনের অপেক্ষা।

জানা যায়, হাসপাতালে রয়েছে আধুনিক লিফট সুবিধা। রোগী আনা-নেওয়ার জন্য থাকবে ২টি অ্যাম্বুলেন্স। এছাড়াও ৫৮ চিকিৎসক এবং ৮০ জন নার্সের পদ সৃষ্ট করা হবে। ২টি মেডিসিন, ২টি সার্জারি এবং একটি করে অর্থপেডিক্স, নাক, কান ও গলা, শিশু, স্ক্যানো, গাইনি, পোস্ট অপারেটিভ, ডায়রিয়া ও কার্ডিওলজি বিভাগ থাকবে। রয়েছে হাসপাতালে নিজস্ব জেনারেট ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা। হাসপাতালে গাইনি, জেনারেল সার্জারি, অর্থপেডিক্স, চক্ষু ও নাক, কান গলার অপারেশনের ব্যবস্থা।  

জানা গেছে, এতোদিন ভোলার ২০ লাখ মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসা ছিলো ১০০ শয্যার সদর হাসপাতাল। কিন্তু সেখানে চিকিৎসক ও নার্স সংকট লেগেই থাকতো। এছাড়া নানা জটিলতা ও আধুনিক সরঞ্জাম না থাকায় সব ধরনের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য বাধ্য হয়ে বরিশাল কিংবা ঢাকায় যেতে হয় রোগীদের।

এতে একদিকে যেমন ভোগান্তি অন্যদিকে রোগীদের দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। কিন্তু নতুন ২৫০ শয্যার এ হাসপাতাল চালু হলে মানুষকে চিকিৎসা সেবা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে না বলে আশা স্থানীয়দের।

স্থানীয়রা মনে করছেন, ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালটি চালু হলে খুব সহজেই দূর-দূরান্তের রোগীরা চিকিৎসা নিতে পারবে। এটি তখন ভোলার মানুষের ভরসাস্থলে পরিণত হবে।   

ভোলার সিভিল সার্জন ডা. রথীন্দ্র নাথ মজুমদার বাংলানিউজকে জানান,  প্রশাসনের অনুমোদন হলেই জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। এরপরেই উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করবে ২৫০ শয্যার জেনালে হাসপাতালের কার্যক্রম। দু’-এক মাসের মধ্যে হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হবে, এটা মোটামুটি নিশ্চিত।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।