এদিকে প্রতিদিন ডেঙ্গু রোগী বাড়াতে গোপালগঞ্জবাসীর মধ্যে ডেঙ্গু আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে হাসপাতালে যারা আসছেন, তাদের অধিকাংশই ঢাকায় বসবাস করেন বা ঢাকায় গিয়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা।
গত বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকালে ঢাকা থেকে ১২০টি ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ের কিট গোপালগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগে এসে পৌঁছেছে। হাসপাতালের গুরুত্ব অনুযায়ী কিটগুলো সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. তরুণ মণ্ডল।
অপরদিকে, ডেঙ্গুর বংশ বৃদ্ধি কমাতে জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়, আদালত, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ভবন চত্বরসহ গ্রামের হাট-বাজার এলাকা ও বসতবাড়ি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহিদা সুলতানা।
গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যার জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. অসিত মল্লিক বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিন হাসপাতালে নতুন ডেঙ্গু রোগী আসছেন। গত বুধবার (৩১ জুলাই) হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন নয়জন রোগী। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) তা বেড়ে হয়েছে ১৫ জনে, শুক্রবার (২ আগস্ট) দুইজন ও শনিবার আরও দু’জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে শনিবার আবার দু’জন বাড়িতে চলে গেছেন। বর্তমানে ভর্তি রোগী ১৭ জন। হাসপাতালটিতে মোট ২৪ জনকে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. তরুণ মণ্ডল বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার দুপুর পর্যন্ত গোপালগঞ্জে ৩২ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ২৬ জন, মুকসুদপুরে চারজন, টুঙ্গিপাড়ায় তিনজন ও কাশিয়ানীতে একজন।
ইতোমধ্যে ডেঙ্গু রোগ শনাক্তকরণ ১২০টি ডিভাইস এসেছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ডিভাইসগুলো গুরুত্ব অনুযায়ী হাসপাতালগুলোতে সরবরাহ করা হয়েছে। আরও ডিভাইস আনার প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া জেলার সব স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক ও কর্মীদের ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিতের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩ে০, আগস্ট ০৩, ২০১৯
এসআরএস