কিন্তু রোগীর ‘ভারে’ রাজধানীর হাসপাতালগুলোর হিমশিম অবস্থা। সেজন্য সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ছাড়া অন্যান্ন ওয়ার্ডেও চলছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা।
তবে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আবার কোনো কোনো হাসপাতাল নিজ উদ্যোগে ডেঙ্গু সচেতনতার পাশাপাশি মশাবাহিত এ রোগের লক্ষণ ও ডেঙ্গু রোগীর বিষয়ে সচেতন হতে দেয়ালজুড়ে সাঁটিয়ে দিয়েছে নির্দেশিকা।
রাজধানীর মৌচাকে অবস্থিত ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দেয়ালে দেখা গেলো সে রকম নির্দেশিকা ও পরামর্শ। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের উদ্যোগে এসব নির্দেশিকায় লেখা রয়েছে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ, ডেঙ্গু জ্বর হলে রোগীকে কখন হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হবে সে সংক্রান্ত কিছু পরামর্শ। যা চোখে পড়েছে হাসপাতালের ফটক, রোগীর ওয়ার্ডের সামনে, লিফটের পাশেও।
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ বিষয়ে এসব নির্দেশিকায় হাতে লেখা রয়েছে - হঠাৎ তীব্র জ্বর, মাথা ব্যথা; চেখের পেছনে, পেশীতে ও গাঁটে ব্যথা; খাবারে অরুচি, বমিভাব ও পেটে যন্ত্রণা; পুরো শরীরে ঘামাচির মতো লাল লাল র্যাশ ; নাক, মুখ বা মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ; চামড়ায় কালশিটে এবং শরীরের অন্যকোনো স্থান থেকে রক্তপাত হয় কিনা তা খেয়াল করা।
তবে এতে আতঙ্কিত না হয়ে রোগীকে কখন হাসপাতালে আনতে হবে সে পরামর্শও সাঁটানো হয়েছে দেয়ালে। সেগুলো হলো- গায়ে ঘামাচির মতো লাল লাল র্যাশ হলে; নাক ও দাঁত থেকে রক্তপাত হলে; বমির সঙ্গে রক্ত গেলে; বারবার বমি হলে, তরল খাদ্য খেতে না পারলে; প্রচণ্ড পেট ব্যথা হলে; মাসিকের সময় বেশি রক্তপাত হলে; কাঁপুনি দিয়ে জ্বর এলে; শরীর ফ্যাকাশে ও শ্বাসকষ্ট হলে এবং ৬-৭ ঘণ্টা ধরে প্রস্রাব বন্ধ থাকলে।
এদিকে ডেঙ্গু আক্রান্তদের হাসপাতালে দেখতে স্বজনদের সঙ্গে অনেক সময় শিশুরাও আসছে, এতে অন্যরা উদ্বেগ প্রকাশ করে সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা মনে করছেন, স্বজনকে দেখতে শিশু সঙ্গে নিয়ে এসে ওই শিশুটিকেই ঝুঁকিতে ফেলা হচ্ছে নাতো!
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৯
জেডএস/