সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে হাসপাতালে দায়িত্ব পালনকালে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সবাই যখন ঈদের আনন্দ করছেন, আমরা তখন রোগীদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছি।
ঈদের দিন দুপুরে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালনের সময় কথা হয় হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এইচ. এম. নাজমুল আহসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, একজন রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলার মধ্যে যে আনন্দ, সেই আনন্দের তুলনা হয় না।
তিনি আরও বলেন, আমি চিকিৎসক, ঈদের দিন দায়িত্বপালন আমার জন্য নতুন কিছু নয়। তবে ঈদের দিনে পরিবারের সদস্যদের সময় দিতে পারছি না, এটা পরিবারের জন্যে কষ্টের বিষয়। ঈদের আনন্দ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করবো এটা তারা আশা করে। সময় দিতে না পারায় তারা কিছুটা রাগ এবং অভিমান করে থাকে।
সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ করছেন কাঠমান্ডুর মেয়ে চেতনা ঝাঁ। ঈদের ছুটিতে তার বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। তবে সবার ছুটি বাতিল হওয়া তার বাড়ি যাওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, আমি সবকিছু জেনে শুনে এ পেশায় এসেছি। আমার দায়িত্ব পালন সবার আগে। তবে এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। যেহেতু ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল, তাই না যেতে পারায় কিছুটা কষ্টতো লাগছেই। তার পরেও যদি চিকিৎসা দিয়ে একটি রোগীকে সুস্থ করে তুলতে পারি সেটাই হবে আমার বড় পাওয়া।
দেশব্যাপী ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করায় ঈদের আনন্দ বিসর্জন দিয়ে দিনরাত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সকলের একটাই আশা ডেঙ্গু রোগে যেন আর একজন রোগীও মারা না যায়। চিকিৎসাধীন সকল রোগী যেন সুস্থ হয়ে প্রিয়জনের কাছে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন এমনটাই আশা তাদের। তাহলেই তারা ঈদের আনন্দের থেকেও বেশি আনন্দ পাবেন বলেও জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৯
আরকেআর/ওএইচ/