উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর কুমার ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালটিতে সব কিছু রয়েছে। শুধু বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা না থাকায় হাসপাতালটি চালু করতে পারছি না।
জানা যায়, ইন্দুরকানী হাসপাতালের ইনডোর সেবা গত ১০ বছর আগে চালুর অনুমতি পাওয়ার পরও বিশুদ্ধ পানির অভাবে তা চালু হচ্ছে না। প্রতিদিন শত শত রোগী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসেন। কিন্তু, ইনডোর সেবা চালু না থাকার কারণে তাদের প্রায় ২৪ কিলোমিটার দূরে জেলা শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যেতে হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, হাসপাতালটিতে রয়েছে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক একটি ভবন। রয়েছে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, মেডিক্যালের বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ পর্যাপ্ত অফিস ব্যবস্থাপনা। রোগীদের পথ্যের (ডায়েট) টেন্ডারও দেওয়া হয়েছে। রয়েছে দু’টি উন্নতমানের অ্যাম্বুলেন্স। অভাব শুধু বিশুদ্ধ পানির। আর এ কারণে হাসপাতালটিতে রোগী ভর্তি করে আবাসিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
স্থানীয়রা জানান, ২০০৮ সালে ইন্দুরকানী হাসপাতালটি চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ইনডোর সেবা চালু হয়নি। ফলে এ উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আর তাদের প্রয়োজনে পিরোজপুর, খুলনা, বরিশাল এমনকি ঢাকাতে গিয়েও চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে। হাসপাতালটি চালুর দাবিতে স্থানীয়রা বিভিন্ন সময় মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচিও পালন করেছেন।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার শাকিল আহমেদ খান বাংলানিউজকে বরলেন, হাসপাতালে ব্যবহার ও খাবার জন্য বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট রয়েছে। শুধু মাত্র একটি পুকুরের পানির ওপরে নির্ভর করতে হয়, যেটা বর্ষার পানিতে পূর্ণ থাকলেও শীতের মৌসুমে শুকিয়ে যায়। পানির সমস্যার সমাধান না হলে হাসপাতালটি চালুর পরে এ সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
এসআরএস