রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সম্প্রতি অন্যতম শীর্ষ ওষুধ প্রস্তুতকারী বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) তাদের তৈরি রেনিটিডিন ট্যাবলেটে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানের উপস্থিতির কারণে বিশ্ববাজার থেকে এটি তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয়।
তবে, গ্যাস্ট্রিকের জন্য ওমিপ্রাজল বা অন্য ওষুধে এ ধরনের জটিলতা রয়েছে কি-না, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালক বলেন, আমাদের নির্দেশনা অনুসারে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) থেকেই বাজারে সব রেনিটিডিন বিক্রি নিষিদ্ধ। ব্যবসায়ীদের উদ্যোগেই বিভিন্ন নামে থাকা ওষুধগুলো প্রত্যাহার করা হবে। বাংলাদেশের ৩১টি ওষুধ কোম্পানি ভারতের ফারাক্কা নামে একটি কোম্পানি থেকে রেনিটিডিন ট্যাবলেটের কাঁচামাল আমদানি করে। এছাড়া, ডক্টর রেড্ডি নামে আরেকটি কোম্পানি থেকেও কাঁচামাল আমদানি করা হয়, যদিও তাদের কাছ থেকে আমদানি নিষিদ্ধ ছিল। এবার দু’টি কোম্পানি থেকেই রেনিটিডিনের কাঁচামাল আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির নেতারা জনস্বার্থেই বাজার থেকে রেনিটিডিন প্রত্যাহার, কাঁচামাল আমদানি ও উৎপাদন না করার বিষয়ে রাজি হয়েছেন।
বৈঠকে উপস্থিত জিএসকে কোম্পানির প্রতিনিধিরাও বাজার থেকে রেনিটিডিন তুলে নেওয়ার কথা বলেছেন বলে জানান মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান। এছাড়া, বাজার থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঔষধ প্রশাসনের পরীক্ষাগারে এগুলোর গুণগত মান পরীক্ষা করা হবে। সে অনুসারেই এ বিষয়ক পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯ (আপডেট: ১৭৪৫ ঘণ্টা)
এমএএম/একে