রোববার (১৩ অক্টোবর) ক্যান্সার সচেতনতা মাস-২০১৯ উপলক্ষে রাজধানীর এক হোটেলে আয়োজিত আলোচনা সভায় চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য জানান।
এ সময় ক্যান্সার চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ সালে সারাবিশ্বে ১ কোটি ৮১ লাখ আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৯৬ লাখ মানুষ মারা যায়।
অন্যদিকে বাংলাদেশে শুধুমাত্র ফুসফুস ক্যান্সারেই প্রতি বছর ১২ হাজার ৩৭৪ জন আক্রান্ত হন, মারা যান ১১ হাজার ৮৬১জন। মূলত ক্যান্সার সম্পর্কে মানুষের মধ্যে অজ্ঞতা, কুসংস্কার ছাড়াও পরিবেশ দূষণ, নিরাপদ সুষম খাদ্যের অভাব এবং অনিয়নন্ত্রত জীবন-যাপনের ফলে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এটি প্রতিরোধ করতে হলে ব্যাপক ভিত্তিতে গণ-সচেতনতার পাশাপাশি রোগটির চিকিৎসায় প্রাইমারি কেয়ার লেভেল ও প্রান্তিক পর্যায়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা জরুরি।
আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেলের অনকোলজি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এ ক্যানসার সচেতনতা সভায় বক্তারা আরও বলেন, দেশে দিনদিন ক্যানসারের ব্যাপকতা বাড়লেও এর চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত ন্যাশনাল গাইড লাইন প্রণোয়ন হয়নি। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের তথ্য ছাড়া আক্রান্তদের কোন সঠিক পরিসনংখ্যান নাই। এ মূহূর্তে ১৭০টি ক্যান্সার চিকিৎসাকেন্দ্র প্রয়োজন হলেও তা নাই। বর্তমানে ১৭ কোটি মানুষের জন্য মাত্র ১৫০ জনের মত ক্যানসার চিকিৎসক রয়েছে।
আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেলের ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. এহতেশামুল হক খান বলেন, তাদের মেডিকেলে গত তিন বছরে ২ হাজার ৫০০ জনকে ক্যান্সারের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ২০১৮ সালেই ৯৮২ জনকে স্ক্রিনিং করে ৮ শতাংশ রোগীর পজেটিভ ধরা পড়েছে।
এ ধারাবাহিকতায় এবারও ক্যান্সার সচেতনতা মাস উপলক্ষে সোমবার র্যাণি, রোডশো ও স্ক্রীনিং কর্মসূচি, ১৪ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত হাসপাতালের বর্হিঃবিভাগে, ১৯ অক্টোবর কিশোরগঞ্জের ভৈরবে, ২৯ অক্টোবর গ্রামীণ ফোনের কর্মকর্তা-কমচারীদের ও ৩০ অক্টোবর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদেরকে বিনামূল্যে স্ক্রিনিং ও স্বল্পমূল্যে ক্যান্সার চিকিৎসা দেওয়া হবে।
সভায় ক্যান্সার সার্জারি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোস্তাক হোসেন প্রিন্স, মেডিসিনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আলী নূর, ডা. আলী নাফিস ফরিদ, ডা. নূরে আম্বিয়া প্রমুখ ছাড়াও অন্যান্য চিকিৎসক এবং মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা উপস্থত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
এমএএম/এসএইচ