ঢাকা: হাজার হাজার বছর ধরে হারবাল উপাদানের নির্যাস মাথার ত্বকের পুষ্টি ও চুলের বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে আদিকাল থেকেই হারবাল উপাদান সৌন্দর্য সমাধানের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
আমাদের চারপাশে বেশ কিছু হারবাল উপাদান রয়েছে যা চুলের বৃদ্ধি ও চুল পড়া রোধ করতে সহায়তা করে থাকে। এ কারণেই দিন দিন হারবাল উপাদানের গুণাবলি সমৃদ্ধ পণ্য গ্রাহকদের পছন্দের তালিকায় উঠে এসেছে। নিজেরদের প্রতি যত্নশীল গ্রাহকরা চুলের যত্নে আস্থা রাখছেন হারবাল উপাদান সমৃদ্ধ পণ্যে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন নামাদামি ব্র্যান্ড এখন হারবাল পণ্য উৎপাদনে আগ্রহী হয়েছেন। বাংলাদেশে বিশ্বের নামিদামি ব্রান্ডের পণ্য পাওয়া যায় যা চুলের জন্য উপকারী।
তেমনি একটি হারবাল উপাদান সমৃদ্ধ শ্রীলংকান ব্র্যান্ড কুমারিকা। আধুনিক নারীদের চুলের যত্নে, চুলকে উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর করতে হারবাল উপাদান সমৃদ্ধ কুমারিকা বিশ্বব্যাপী উন্নতমানের পণ্য সরবরাহ করে। কুমারিকা দিয়েই বাংলাদেশে হারবাল উপাদান সমৃদ্ধ তেলের যাত্রা শুরু হয়। কুমারিকা শতভাগ প্রাকৃতিক নির্যাস থেকে তৈরি একটি হারবাল তেল। কুমারিকায় আমলকী, ব্রাহ্মীলতা, বাদাম, অ্যালোভেরা ও এক্সট্রা ভার্জিন নারিকেল তেল রয়েছে।
কুমারিকায় থাকা ব্রাহ্মী মাথার ত্বক পুনরুজ্জীবিত করে এবং চুলকে এর শিকড় থেকে শক্তিশালী করে ৫০ শতাংশ চুল পড়া হ্রাস করে এবং চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। এটি চুলকে সিল্কি এবং মসৃণ করে তোলে, এইভাবে চুলের গঠনকে উন্নত করে। শুকনো মাথার ত্বকের চিকিৎসা এবং চুল পড়া রোধে ব্রাহ্মী দুর্দান্ত।
কুমারিকায় রয়েছে আমলা যা ভিটামিন সি এবং খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ। আমলার পুষ্টিগুণ চুল পড়ে যাওয়া, অসময়ে চুল পাকা রোধ করে এবং মাথার ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রেখে চুলকে করে ঝলমলে ও চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আমলকির অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণও রয়েছে যা খুসকি আর চুলকানি থেকে মাথার ত্বককে রক্ষা করে।
চুলের যত্নে কুমারিকায় থাকা বাদাম চুল মজবুত ও ঘন করার পাশাপাশি চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়। মাথার ত্বক মসৃণ রাখতে বাদাম বেশ কার্যকর। বাদামে রয়েছে এ, বি, ডি এবং ই এর মতো ভিটামিন যা চুল নরম ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তোলে। তাছাড়া বাদাম মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল ঠিক রেখে নতুন চুল গজাতে ও ভঙ্গুর চুল দ্রুত ঠিক করতে সাহায্য করে। বাদাম মাথার ত্বক, মৃত কোষ ও খুশকি নরম করে যা পরবর্তীতে শ্যাম্পু করার সঙ্গে মৃত কোষ ও খুশকি ঝরে পরে চুলের বৃদ্ধি বজায় রাখে।
চুলের রুক্ষতার প্রধান কারণ চুলের ডগা ফাটা। কুমারিকায় থাকা অ্যালোভেরার পুষ্টিগুণ চুলের ডগা ফাটা রোধ করে। অ্যলভেরা চুল পড়া বন্ধ করার জন্য আদর্শ উপাদান। অ্যালোভেরা সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে চুলকে রক্ষা করে থাকে। একইসঙ্গে কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট যেমন কালার করা, রিবন্ডিং করা অথবা কার্ল করার কারণেও চুল রুক্ষ হয়ে যায়। তাই চুলের যত্নে প্রাকৃতিক বা হারবাল উপাদান সমৃদ্ধ তেল-ই হতে পারে সকলের বিশ্বস্ত সঙ্গী।
কুমারিকার পাশাপাশি আরও কিছু ব্র্যান্ড রয়েছে যারা হারবাল উপাদান সমৃদ্ধ পণ্য উৎপাদন করছে। বাজাজ, মেরিকো ও ইমামি ব্রান্ডের রয়েছে হারবাল উপাদান সমৃদ্ধ তেল। কুমারিকাসহ এ সকল ব্রান্ডের বিভিন্ন প্রকার হারবাল উপাদান সমৃদ্ধ তেল যা বাংলাদেশের গ্রাহকদের কাছে আস্থার জায়গা তৈরী করেছে। যা চুলের যত্নে সহজ ও নির্ভরযোগ্য সমাধান।
ভালো চুল পেতে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি। প্রতিদিন চুলে তেল না লাগালেও চলবে। ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন তেল লাগালেই যথেষ্ট। তবে তেল লাগিয়ে সঙ্গে সঙ্গে শ্যাম্পু করে ফেলবেন না, ঘণ্টাখানেক তেলটা চুলে বসে যেতে দিন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। যাদের চুল পাতলা তারা নিয়মিত হারবাল উপাদান সমৃদ্ধ তেল ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। স্বাভাবিক উপায়ে চুল শুকাতে হবে। হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২০
এএটি