ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

সাড়ে ৩ মাসে পটুয়াখালীতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত সাড়ে ৭ হাজার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২১
সাড়ে ৩ মাসে পটুয়াখালীতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত সাড়ে ৭ হাজার

পটুয়াখালী: পটুয়াখালীতে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০৫ জন রোগী পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের ডায়রিয়া বিভাগে ভর্তি হয়েছে।

এর মধ্যে, বেশিরভাগই নারী ও শিশু। মার্চের মাঝামাঝি থেকে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়তে থাকে।

হঠাৎ করেই বাড়তি রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হিমসিম খেতে হচ্ছে। এসব রোগীরা পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজসহ উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। জেলার হাসপাতালের ডায়েরিয়া ওয়ার্ডগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শয্যা না থাকায় করিডোরের মেঝেতে ঠাঁই হয়েছে রোগীদের। এ কারণে বাসা বাড়িতেই চলছে অধিকাংশ রোগীদের চিকিৎসা। ফলে ফার্মেসিগুলোতে কৃত্রিমভাবে দেখা দিচ্ছে ওষুধ ও স্যালইনের সংকট।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ জেলায় গত সাতদিনে ১৯৬৬ জন এবং গত একমাসে ৪০৬৪ জন ভর্তি হয়েছে। পহেলা জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৭৬৪৬ জন রোগী ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিয়েছে। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭১২৬ জন এবং সরকারি হিসেবে হাসপাতালে মারা গেছে দুইজন। এরা হলেন- বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের কেশবপুর ইউনিয়নের ভরিপাশা গ্রামের মাসুমের স্ত্রী খাদিজা বেগম (২৭) ও সদর উপজেলার মাদারবুনিয়ার শংকরপুর গ্রামের আব্দুল হক মৃধার স্ত্রী পেয়ারা বেগম (৬০)।

তিনি বলেন, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোগীদের সু-চিকিৎসা নিশ্চিত করতে। এ সময় সাধারণত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ওষুধ এবং স্যালাইন মজুত আছে। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কেউ কেউ কৃত্রিম সংকট তৈরি করার চেষ্টায় আছেন। সেদিকে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মতিন ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি। তিনি বলেন, অধিদপ্তর থেকে কথা বলতে নিষেধাজ্ঞা আছে। তাই ক্যামেরার সামনে কথা বলা যাবেনা।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমান সময়টি ডায়েরিয়ার প্রকোপের সময় উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সমন্বয়ের কাজ শুরু করেছে। স্থানীয়ভাবে ওষুধ এবং স্যালাইন দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা চলছে এবং পাশপাশি বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ওষুধ এবং স্যালাইন সংগ্রহের কথাও জানান তিনি।

কেন হঠাৎ করে জেলায় ডায়রিয়ার এমন প্রকোপ দেখা দিয়েছে সে বিষয়ের কারণ অনুসন্ধানেও ইতোমধ্যে কাজ শুরু করার হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।