ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

করোনার চিকিৎসায় সংকট নেই বিএসএমএমইউ হাসপাতালে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২১
করোনার চিকিৎসায় সংকট নেই বিএসএমএমইউ হাসপাতালে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ

ঢাকা: করোনার চিকিৎসার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে কোনো সংকট নেই বলে জানিয়েছেন বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বাংলানিউজকে তিনি এ কথা জানান।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনার চিকিৎসার জন্য আমাদের এখানে কিট, পিসিআর টেস্ট বা চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা বা সংকট এ মুহূর্তে নেই। এছাড়া অক্সিজেনের সমস্যাও আশা করি হবে না। করোনা চিকিৎসায় যা যা দরকার সবকিছুই আমাদের কাছে আছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ১০০ বেড আর ১০টি আইসিইউ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। এখন বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে একটি বেড বা আইসিইউও খালি নেই। তবে শুধু বেড বাড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে না। মানুষের চলাচল সীমিত করতে হবে। পাশাপাশি কোনো পরিবারে কেউ আক্রান্ত হলে তাকে আইসোলেশনে পাঠাতে হবে।

করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় চিকিৎসা ও প্রতিরোধের বিষয়ে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় চিকিৎসা ও প্রতিরোধের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সিকোয়েন্সিং প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বর্তমান ভ্যারিয়েন্ট, নতুন মিউটেশন অথবা বিদেশি ভ্যারিয়েন্টকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে। সাংবাদিক ও বয়স্কদের জন্য টিকা নেওয়ার আলাদা বুথের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহারে অক্ষম লোকেদের করোনা টেস্ট করার জন্য অনস্পট রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আউটডোর-১ ও আউটডোর-২ সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা জোরদার করা হয়েছে।

শারফুদ্দিন আহমেদ জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন সেন্টারে ২৮ এপ্রিল চলমান কঠোর ‘লকডাউনের’ মধ্যেও মোট ১ হাজার ৫৫২ জন করোনা টিকা নিয়েছেন। ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৫৪ হাজার ৫৬৪ জন। এছাড়া ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের কিকা নিয়েছেন ২৫ হাজার ১৭২ জন।

তিনি আরও জানান, বেতার ভবনের পিসিআর ল্যাবে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ১ লাখ ৩৬ হাজার ৭২৮ জনের করোনা টেস্ট করা হয়েছে। এছাড়া বেতার ভবনের ফিভার ক্লিনিকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ৯২ হাজার ৭১৫ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন।

অন্যদিকে করোনা ইউনিটে ২৮ এপ্রিল সকাল ৮টা পর্যন্ত ৮ হাজার ৩৭১ জন রোগী সেবা নিয়েছেন। ভর্তি হয়েছেন ৪ হাজার ৭৩৫ জন ও সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৩ হাজার ৯৬৪ জন। বর্তমানে ভর্তি আছেন ১৪২ জন রোগী ও আইসিইউতে ১২ জন রোগী ভর্তি আছেন বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২১
এইচএমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।