ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বরিশাল বিভাগে ৪৮ হাজার ছাড়ালো ডায়রিয়া আক্রান্ত, মৃত্যু ১৭

স্টাফ ক‌রেসপ‌ন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৯ ঘণ্টা, মে ৬, ২০২১
বরিশাল বিভাগে ৪৮ হাজার ছাড়ালো ডায়রিয়া আক্রান্ত, মৃত্যু ১৭ ...

ব‌রিশাল: ডায়রিয়ার প্রকোপ শুরু হওয়ার ৪ মাসের ব্যবধানে বরিশাল বিভাগে ডায়রিয়ার প্রকোপ অনেকেটাই কমে এসেছে। চলতি মাসের শুরু থেকেই এক হাজারের নিচে নামতে শুরু করে আক্রান্তের সংখ্যা।

আবার বর্তমানের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দৈনিক আক্রান্তের থেকে সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেশি থাকছে।

বিভিন্ন স্থানে হালকা পানি বৃদ্ধি পাওয়া ও জনসচেতনতার কারণে এই সুফল মিলেছে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মত। বৃষ্টি হলে এই সংখ্যা আরও কমে যাবে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস।

বৃহস্পতিবার (৬ মে) স্বাস্থ্য পরিচালক জানিয়েছেন, বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬৩৬ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬৯২ জন, আর মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। সবশেষ মৃত্যুবরণকারী ৫ বছর বয়সী শিশু মীম ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার আবুবকরপুর এলাকার বাসিন্দা।

এ নিয়ে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৬ মে পর্যন্ত ৪৮ হাজার ৮৭৮ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন, যার মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৭ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৪৮ হাজার ৩৯ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ভোলা জেলায় সর্বাধিক আক্রান্ত হয়েছেন। এই জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ৫৯৭, যার মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ১২ হাজার ৩৮৫ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালী। এ জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৩২৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ১২৮ জন।

পর্যায়ক্রমে বরগুনায় জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছে সাত হাজার ৭৩৪ এবং সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার ৬২৯ জন, বরিশাল জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছে ছয় হাজার ৫৮৫ এবং সুস্থ হয়েছেন ছয় হাজার ৪৭২ জন, পিরোজপুর জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছে ছয় হাজার ১৬৫ এবং সুস্থ হয়েছেন ছয় হাজার ২৬ জন, ঝালকাঠি জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছে পাঁচ হাজার ৪৬৮ এবং সুস্থ হয়েছেন পাঁচ হাজার ৩৯৯ জন।

এছাড়া মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পটুয়াখালীতে সার্বোচ্চ ছয় জন, এরপর বরিশালে পাঁচ জন, বরগুনায় চার জন ও ভোলায় দুই জন রয়েছেন।  

স্বাস্থ্য দফতর জানায়, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত আইভি স্যালাইনের মজুত রয়েছে। এখন পর্যন্ত বিভাগে এক হাজার সিসির ৬০ হাজার ১২৫ এবং ৫০০ সিসির ৩৮ হাজার ৭৯৬ পিস আইভি স্যালাইন মজুত আছে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস সকলকে বিশুদ্ধ পানি পান করার পাশাপাশি গৃহস্থলির কাজে খাল, ডোবা, নালা ও পুকুরের পানি ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করার পরামর্শ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, ৬ মে, ২০২১
এমএস/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।