ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১২ জনের মৃত্যু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৬ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২১
রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১২ জনের মৃত্যু

রাজশাহী: রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বুধবার (৩০ জুন) ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের দিন মঙ্গলবার (২৯ জুন) সর্বোচ্চ রেকর্ড ২৫ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেএই হাসপাতালে।

এদিকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের মধ্যে এই ১২ জনের মারা যান। এ নিয়ে চলতি মাসের ৩০ দিনে (১ জুন সকাল ৮টা থেকে ৩০ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত) এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেলেন ৩৫৫ জন। এর আগে ২৪ জুন এ হাসপাতালে সর্বোচ্চ ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বাংলানিউজকে জানান, মৃত ১২ জনের মধ্যে ৫ জন করোনা পজিটিভ ছিলেন। আর অপর ৭ জন ভর্তি ছিলেন করোনার উপসর্গ নিয়ে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রাজশাহী জেলার ৮ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ২ জন ও নাটোর জেলার ১ জন, নওগাঁ জেলার ১ জন রোগী রয়েছেন।

বয়স বিবেচনায় মৃতদের ষাটোর্ধ্ব ৪ জন, ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৫০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৪০ এর মধ্যে ১ জন রয়েছেন। তবে ৩০ বছরের মধ্যে কারও মৃত্যু হয়নি আজ। রাজশাহীর দুটি পিসিআর ল্যাব গত মঙ্গলবার মোট ৬৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে ২৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা শনাক্তের হার রাজশাহী জেলায় বেড়ে আবারও ৩২ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা শনাক্তের হার ৫০ শতাংশে উঠেছে। এছাড়া নওগাঁ জেলায়ও করোনা শনাক্তের হার বেড়ে ৪৭ দশমিক ৭৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

রামেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পজিটিভ ও করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৬৩ জন। এর মধ্যে রাজশাহী জেলারই রয়েছেন ৪৩ জন। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ৮ জন, নাটোর জেলার ৪ জন, নওগাঁ জেলার ৬ জন, পাবনা জেলার ২ জন রোগী আছেন। বুধবার (৩০ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত এ হাসপাতালে ভর্তি আছেন মোট ৪৬০ জন রোগী। অথচ হাসপাতালে করোনা ডেডিকেটেড শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর পরও রয়েছে ৪০৫টি। গত ২৭ জুন রামেক হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন যুক্ত করে এই ওয়ার্ডটিও কোভিড ওয়ার্ডে রূপান্তর করা হয়েছে। এই ওয়ার্ডের শয্যা সংখ্যা রয়েছে ৪৮টি। আগে হাসাপাতালের ডেডিকেটেড শয্যা সংখ্যা ছিল ৩৫৭টি। এর সাথে ৪৮টি শয্যা বেড়ে ৪০৫টি দাঁড়িয়েছে। এর পরও ধারণ ক্ষমতার বেশি রোগী ভর্তি রয়েছেন। ৪০৫ জনের বাইরের রোগীরা হাসপাতালের মেঝেতে এবং ওয়ার্ডের বারান্দায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বর্তমানে রামেক হাসপাতালে ৪ নম্বর ওয়ার্ডটিতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন সংযোজনের কাজ চলছে। এখানে ৪৫টি শয্যা রয়েছে। এটি হবে করোনা ইউনিটের সর্বশেষ সংযোজন। কারণ এরপর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আর কোনো ওয়ার্ড নতুন করে করোনা ইউনিটে সংযুক্ত করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৯ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২১
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।