ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

গ্রামের মানুষ করোনাকে জ্বর-সর্দি ভাবছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২১
গ্রামের মানুষ করোনাকে জ্বর-সর্দি ভাবছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা: দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। তবে শহরের তুলনায় সংক্রমণ এখন গ্রামাঞ্চলেই বেশি ছড়িয়ে পড়ছে।

আর গ্রামের মানুষ করোনা ভাইরাসকে স্বাভাবিক ভাবছে জ্বর-সর্দি।

রোববার (১১ জুলাই) দুপুরে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের আয়োজনে এক ভার্চ্যুয়াল সভায় একথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, রোগীর পরিস্থিতি জটিল হলেই হাসপাতালে আসছেন, কিন্তু ততক্ষণে আর চিকিৎসকদের কিছুই করার থাকছে না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গ্রামের লোকজনের এক পর্যায়ে যখন শ্বাসকষ্ট একদম বেড়ে যায়, তখন তারা হাসপাতালে ছুটে আসে। কিন্তু তখন তাদের ফুসফুসের প্রায় ৭০ শতাংশের মতো আক্রান্ত হয়ে গেছে। তাদের অক্সিজেন নেমে গেছে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশে, কিন্তু তখন আর চিকিৎসা দিয়ে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয় না। আমাদের চিকিৎসক-নার্সরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও তখন আর তাদের ফিরিয়ে আনতে পারে না।

‘করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে পারিবারিক কলহ ও বাল্যবিয়ে বেড়েছে। এ সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি একটু কমেছে। মানুষ ক্লিনিক ও হাসপাতালে আসতে ভয় পায়। অভিভাবকরা কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগেছে। হোম ডেলিভারি বা ঘরে প্রসবটাই বেড়েছে। মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার যাতে বেড়ে না যায় আমাদের সেই চেষ্টা ছিল। ’

তিনি বলেন, করোনার সময় ঘরে ডেলিভারি বেড়েছে এটা একটা বিষয়, আর দরিদ্র পরিবারে বাল্যবিয়ে বেড়েছে। পারিবারিক কলহও এই কারোনার সময়ে বেড়েছে। পৃথিবীর সর্বত্রই এটি দেখা গেছে। নারী নির্যাতন বলেন, আর শিশুদের প্রতি অবহেলা, করোনার সময় বিশ্বজুড়েই এটা বেড়েছে।

দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২ দশমিক ৬ শতাংশ ছিল, এখন সেটা এক দশমিক ৩ শতাংশ। অনেক কমেছে। জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপকরণ ব্যবহারের হার আগে ছিল ৮ শতাংশ। এটা এখন প্রায় ৬৪ শতাংশে পৌঁছেছে। এটা আমরা আরও বেশি আশা করি। এই করোনার মধ্যেও আমাদের কর্মীরা বিতরণের কাজটি অব্যাহত রেখেছে।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া সেরা প্রতিষ্ঠান ও কর্মীদের পুরস্কার দেওয়া হয়। একই সঙ্গে পরিবার পরিকল্পনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডও ঘোষণা করা হয়।

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূরের সভাপতিত্বে সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, পরিবার কল্যাণ অধিদফতরের ডিজি শাহান আরা বানুসহ অন্য কর্মকর্তারা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত থেকে বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২১
পিএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।