ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ঢামেকের একমাত্র আল্ট্রাসনোগ্রাম কক্ষে তালা

আবাদুজ্জামান শিমুল, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২১
ঢামেকের একমাত্র আল্ট্রাসনোগ্রাম কক্ষে তালা ঢামেকে একমাত্র আল্ট্রাসনোগ্রাম কক্ষে তালা

ঢাকা: ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের একমাত্র আল্ট্রাসনোগ্রামের কক্ষটি তালা দিয়ে রাখা হয়েছে। কক্ষটিতে থাকা তিনটি মেশিনই নষ্ট হওয়ার কারণে সেটি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

 

শনিবার (১৬ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে বহির্বিভাগের রেডিওলজি বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান গেটে তালা দেওয়া। সেখানে একটি সাদা কাগজে লেখা আছে ইউএসজি নষ্ট হওয়ায় আপাতত কাজ বন্ধ আছে।

এদিকে হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, অন্যান্য রোগীদের পাশাপাশি প্রতিদিন অন্তঃসত্ত্বা রোগীরা সেখানে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে থাকেন। শনিবার বিকেল ৩টা থেকে সেটি বন্ধ আছে। এখন রোগীদের হাসপাতালের বাইরে গিয়ে আলট্রাসনোগ্রাম করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। ২৪ ঘণ্টায় তিন মেশিন নিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম কক্ষটি চালু থাকে। সকালের দিকে আনুমানিক ১০০ জনের আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়।

রেডিওলজি বিভাগের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট কামাল উদ্দিন জানান, বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যালে তিনটি আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন। ফুজি ও চায়না কোম্পানির দু’টি মেশিন অনেক আগেই নষ্ট হয়েছে। কয়েক বছর হওয়ার কারণে সেগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। একটিমাত্র মেশিন চালু ছিল ফিলিপসের সেটাও আজকে নষ্ট হয়ে গেছে। মেডিক্যালে রোগীদের জন্য আর কোথাও আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন নেই। তবে নতুন ভবনে ছোট একটা আছে সকালের দিকে সেটাতে এফএনএসি করা হয়। রাতে যদি কোনো রোগীর আল্ট্রাসনোগ্রাম প্রয়োজন হয়, তাহলে অন্য কোনো হাসপাতালে করতে হবে।  

রেডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. নোমান চৌধুরি জানান, আমাদের এখানে আল্ট্রাসনোগ্রাম তিনটা মেশিন অনেক পুরাতন। একটা ফুজি একটা ফিলিপস আরেকটা ছিল ডোনেশনের। এদের মধ্যে দু’টি মেশিনেরই মেয়াদ শেষ। দুপুর পর্যন্ত ফিলিপস মেশিন দিয়ে আমরা কাজ করেছি তারপর মেশিনটা নষ্ট হয়ে গেছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, টেকনিশিয়ানকে খবর দিয়েছি, মেরামতের জন্য। তারা কাল সকালে যদি আসেন তারপরে বলা যাবে কখন চালু হবে।  

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গাইনির সাবেক  আবাসিক চিকিৎসক (আরএস) বর্তমানে আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট চৌধুরী তাসলিমা নাসরিন জানান, অন্তঃসত্ত্বা রোগীদের আল্ট্রাসনোগ্রাম করে দেখতে হয় মায়ের পেটে শিশু কি অবস্থায় আছে। তারপরে পরবর্তী চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ঢাকা মেডিক্যাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক জানান, বিষয়টি নিয়ে ওই ডিপার্টমেন্ট প্রধানসহ সবার সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুত আল্ট্রাসনোগ্রাম চালু করার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

তিনি আরও জানান, নতুন আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন আসছে। দ্রুত মেশিনগুলো লাগাতে পারবো। এছাড়া যেগুলো নষ্ট হয়েছে, সেগুলো সকালের মধ্যে মেরামত করার চেষ্টা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২১
এজেডএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।