সিলেট: সিলেটে এক দশকে নবজাতক ও মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। সিলেটে ২০১০ সাল প্রতি হাজারে নবজাতকের মৃত্যুর হার ছিল ৪৫ জন।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মূল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনকালে এ তথ্য জানানো হয়।
সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, ২০১৫ সালে এমডিজি শেষে আমরা এসডিজিতে পদার্পণ করি। সে অনুযায়ী প্রতি লাখে জীবিত জন্মে মায়ের মৃত্যু ৭০ এর নিচে নামিয়ে আনা। হাজার জীবিত জন্মে নবজাতক মৃত্যু ১ হাজার ২০০ এর নিচে নামিয়ে আনা। আর ৫ বছরের নিচে শিশু মৃত্যু হাজারে ১৮ এর নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, সর্বশেষ ২০২০ সালের পরিসংখ্যান করা হয়েছে। ২০২২ সালের পরিসংখ্যানে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার আরও কমে আসবে আশাবাদী ডা. হিমাংশু লাল রায়।
’সুরক্ষিত বিশ্ব নিশ্চিত স্বাস্থ্য’ এ প্রতিপাদ্যে এদিন সারা দেশের মতো সিলেটেও যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত হয়। দিবসটিতে স্বাস্থ্য বিভাগ সিলেটের উদ্যোগে ও বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়।
এদিন বিভাগীয় স্বাস্থ্য ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বেলুন উড়িয়ে সকালে দিবসের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সিলেটের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হিমাংশু লাল রায়।
পরে স্বাস্থ্য ভবন প্রাঙ্গণ থেকে বের হওয়া র্যালি নগরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালি শেষে স্বাস্থ্য ভবনের ইপিআই ভবনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. এস এম শাহরিয়ারের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হিমাংশু লাল রায়।
সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার ডা. স্বপ্নীল সৌরভ রায়ের পরিচালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সহকারী পরিচালক রোগ নিয়ন্ত্রণ ডা. নূরে আলম শামীম।
এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. মো. আব্দুল কাদির, খাদিমপাড়া হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. প্রজ্ঞা পারমিতা দে, সিভিল সার্জন অফিসের স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা সুজন বণিক প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেটের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, বিশ্বকে সুরক্ষিত করতে হলে আমাদের নিজেদের সুরক্ষিত থাকতে হবে। বিশ্বকে সুরক্ষিত করতে না পারলে আমরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাব।
তিনি বলেন, আমাদের অপরিকল্পিত ব্যবহার পরিবেশ ধ্বংস করছে। আমরা প্রকৃতিকে ধ্বংস করছি, এর জন্য এর প্রভাব পড়ছে আমাদের ওপর। পরিবেশ ধ্বংস না করার অঙ্গিকার প্রদানের মাধ্যমে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রথমে বিশ্বের পরিবেশ পরে মানব সভ্যতা। স্বাস্থ্যকর্মী সবার প্রচেষ্টায় জনগণকে সুরক্ষিত করে প্রকৃতি রক্ষা করলে স্বাস্থ্য সুনিশ্চিত হবে।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. এস এম শাহরিয়ার বলেন, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য দিবস পালন করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রতিটি ক্ষণ অন্যের স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় কাজ করার আহবান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. স্বপ্নীল সৌরভ রায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২২
এনইউ/আরবি