আগরতলা (ত্রিপুরা): সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে ত্রিপুরা রাজ্য জুড়েও শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুর্গাপূজার অষ্টমী তিথিতে কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়।
আগরতলার ধলেশ্বর এলাকার রামকৃষ্ণ মিশন, পার্শ্ববর্তী মহেশখলা এলাকার বিবেকনগরের রামকৃষ্ণ আশ্রমসহ আরও বিভিন্ন জায়গায় এ কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়ে থাকে প্রতি বছর।
স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতার বেলুড় মঠে প্রথম কুমারী পূজার প্রচলন করেন। তারপর থেকে চলে আসছে এ পূজা। মূলত ছোট ছোট কন্যা সন্তানকে দেবী দুর্গা জ্ঞানে এদিন পূজা করা হয়ে থাকে। হিন্দু শাস্ত্র মতে কুমারী মেয়েরা নিষ্পাপ এবং তাদের মধ্যে ভগবান বিরাজমান, তাই তাদের কুমারী দেবী রূপে পূজা করা হয়ে থাকে। প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও অষ্টমীতিতে কুমারী পূজার আয়োজন করা হয় আগরতলার ধলেশ্বর এলাকার রামকৃষ্ণ আশ্রমে।
এদিন সকাল থেকেই কুমারী পূজাকে ঘিরে ভক্তদের ভিড় লক্ষ্য করা যায় রামকৃষ্ণ আশ্রম চত্বরে। পুণ্যার্থীদের সঙ্গে সপরিবারে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্য থেকে রাজ্যসভার একমাত্র সংসদ সদস্য রাজীব ভট্টাচার্য।
কুমারী পূজা প্রসঙ্গে আশ্রমের মহারাজ অমর্ত্যানন্দ বলেন, সৃষ্টি স্থিতি এবং প্রলয়ের নিজ অবস্থা হচ্ছে এ কুমারী। তাই প্রকৃতির রূপ হিসেবে নারীকে পূজা করা হয়। মনের দৈন্যদশা দূর করে সবাইকে যেন ভালো রাখেন এ প্রার্থনা করা হয় পূজাতে বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে এদিনের এ কুমারী পূজার অনুষ্ঠানে উপস্থিত সংসদ সদস্য রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, দুর্গা মায়ের কাছে তিনি প্রার্থনা করছেন সবার মধ্যে যেন সুখ সমৃদ্ধি বিরাজ করে। রাজ্যে যেন শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে। সরকার এবং দলের লক্ষ্য হচ্ছে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়া, এ লক্ষ্য পূরণে যেন সব অংশের মানুষ মিলিতভাবে কাজ করতে পারেন এ প্রার্থনা করেছেন তিনি বলে জানান।
ধলেশ্বর রামকৃষ্ণ মিশনের পাশাপাশি আরও বহু জায়গায় ছোট বড় বিভিন্ন পরিসরে মহাষ্টমী তিথির দিন কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২৪
এসসিএন/জেএইচ