কলকাতা: ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট সমস্যায় পশ্চিমবঙ্গের সীমায় থমকে প্রায় ৯ হাজার পণ্যবাহী ট্রাক। বিভিন্ন রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে আলু, মাছের মতো পচনশীল পণ্যসহ অন্যান্য পণ্য নিয়ে এসব ট্রাক অপেক্ষায় রয়েছে।
ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গ প্রবেশ করতে হলে পথের করসহ বিভিন্ন কর দিতে হয়। সে কর প্রদানের ক্ষেত্রে সমস্যার কারণেই পণ্যবাহী ট্রাকগুলো আটকে আছে বলে জানা গেছে।
এদিকে অবস্থা সামাল দিতে সোমবার (১৪ নভেম্বর) পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সীমায় প্রবেশের ক্ষেত্রে সব কর মওকুফ বলে ঘোষণা দেন। ওই ঘোষণার পর মঙ্গলবার ভোরে (১৫ নভেম্বর) কিছু পণ্যবাহী গাড়ি পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছে।
তবে শহরের বাজারে সেগুলো মঙ্গলবার প্রবেশ করতে পারবে না। কারণ কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা সদরে দিনের বেলায় পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেজন্য রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গ-অন্ধ্র সীমান্তে প্রচুর পরিমাণে মাছবোঝাই ট্রাক আটকে আছে। আটকে আছে সবজি, আলু এবং ডিমের মতো পণ্য। এছাড়া আলুর চারা নিয়ে বহু ট্রাক অপেক্ষা করছে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে।
আরও জানা গেছে, লুধিয়ানা থেকে শীতের পোশাক নিয়ে বেশ কিছু পণ্যবাহী গাড়ি পশ্চিমবঙ্গের সীমায় অপেক্ষা করছে।
‘মানি এক্সচেঞ্জ’ ব্যবসায়ীরা হাত গুটিয়ে নেওয়ায় সমস্যা বেড়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তেও। সেখানেও বেশ কিছু পণ্যবাহী গাড়ি অপেক্ষা করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পশ্চিমবঙ্গ-অন্ধ্র সীমান্তে চলাচলকারী এমন পণ্যবাহী গাড়ির মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একটি লরিতে অন্তত আট টনের মতো মাছ থাতে, যার মূল্য ৭ থেকে ৮ লাখ রুপি।
এ অবস্থায় পণ্য ফিরিয়ে নেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কারণ সেক্ষেত্রে খরচ লাগবে দ্বিগুণ।
ইতিমধ্যেই ভারত সরকার সব রাজ্যের বিভিন্ন শহরে প্রবেশের মুখে বাধ্যতামূলক টোল মওকুফ করেছে। তবে জটলা কমতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৬
এসএস/জেডএস