এর আগে টাকা থাকলেই যে কেউ মোটরসাইকেল কিনতে পারতেন। ফলে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই অনেকে মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন।
সম্প্রতি এ নিয়ে একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বাইক দুর্ঘটনা ঠেকাতে পুলিশ ও পরিবহণ দফতরকে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেলিন তিনি। তারই ফল স্বরূপ হিসেবে মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক করে দিলো রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
পরিবহন মন্ত্রী জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে এর আগে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঠেকাতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছিল প্রশাসন। যেমন- পেট্রোল পাম্পে তেল ভরার জন্য মোটরসাইকেল আরোহীর মাথায় হেলমেট থাকা বাধ্যতামূলক। বিভিন্ন উড়ালপুলে রাতে দ্রুত বেগে মোটরসাইকেল চালানো নিষিদ্ধ করা হয়। রাতে পুলিশি নজরদারি আরও বাড়ানো হয়। বেড়েছে সিসি ক্যামেরার সংখ্যাও। রাস্তার মোড়ে মোড়ে কাগজপত্র পরীক্ষা করে ট্রাফিক পুলিশ। বসেছে ভ্রাম্যমাণ ‘ড্রিঙ্ক মিটার’। অর্থাৎ অতিরিক্ত মদ্যপান করে দু’চাকা আরোহন করলে দিতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। তাতেও অবশ্য মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঠেকানো যাচ্ছিলো না। তাই আরও একধাপ এগিয়ে এবার মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশনের প্রথম শর্ত হিসাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক করা হলো।
তাতে অনেকেই আবার প্রশ্ন তুলছেন, মোটরসাইকেলের নম্বর প্লেট না হলে কীভাবে বাইক চালানো শিখবেন নতুন চালকরা? এর ফলে হয় অন্যের মোটরসাইকেল নিয়ে চালানো শিখতে হবে। নইলে কারও কাছ থেকে গাড়ি ভাড়া নিতে হবে। অথবা এখন থেকে চার চাকার গাড়ির মতো বাইক চালানো শিখতে মোটর ট্রেনিং স্কুলে ভর্তি হতে হবে। তাতে আবার মোটর ট্রেনিং স্কুলের ব্যবসা জমে উঠবে। পরিবহন মন্ত্রী অবশ্য এ নিয়ে কোনও ব্যাখা দেননি। বললেন, পররর্তীতে আরও নিয়ম আসছে অপেক্ষা করুন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৮
ভিএস/টিএ