মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) ডলার পিছু রুপির দর দাঁড়িয়েছে ৭১ রুপি ১০ পয়সা। এছাড়া চার মহানগরে জ্বালানির দাম রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে।
অন্যদিকে দিল্লিতে ডিজেলের দাম ৭১ রুপি ১৫ পয়সা এবং কলকাতায় ৭৪ রুপি ১৯ পয়সা। গত ১৬ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পেট্রোলের দাম লিটারে দুই রুপি ও ডিজেলের দাম লিটারে ২ রুপি ৪২ পয়সা বেড়েছে। ফলে জ্বালানির দাম সর্বকালের রেকর্ড গড়ে ফেলেছে। আর তাতেই জিনিসপত্রের দামও বাড়তে শুরু করেছে।
চাল, ডাল থেকে শুরু করে ভিন রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসা আনাজ, মাছের যেমন দাম বাড়ছে, তেমনই বাড়তে চলেছে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীসহ হরেক জিনিসের দাম। ডলারের নিরিখে রুপির দাম পড়তে থাকায় ক্রমশ জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। জ্বালানির দাম বাড়ার জন্য রুপির দামের পতনকেই দায়ী করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণন সংস্থাগুলো।
সোমবার (৩ সেপ্টম্বর) ডলারের নিরিখে রুপির দর ৭১ রুপি। ফলে জ্বালানির আমদানি খরচ বেড়েছে বলে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলো জানিয়েছে।
কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়েছেন, রুপির দর পতন ও আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ায় ভারতের বাজারে দামের এমন বৃদ্ধি হয়েছে। গত ১৫ দিনে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল পিছু সাত ডলার বেড়েছে। তবে মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দর নিম্নমুখীর দিকে। এরই মধ্যে ডলারের তুলনায় রুপির দরে রেকর্ড পতনও বহাল রয়েছে। যদিও এদিন বাজার খোলার সময় রুপির দরে খানিকটা উন্নতি দেখা গিয়েছিলো। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই উন্নতি, অবনতিতে পরিবর্তন হয়েছে। এই মুহূর্তে ডলার পিছু রুপির দর দাঁড়িয়েছে ৭১ রুপি ১০ পয়সা। এর আগে ডলার ছিল প্রতি ৭১ রুপি।
এর ফলে কলকাতাসহ রাজ্যের বাজারগুলোতে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বড় বাজারের পাইকারি বাজার সংগঠনের অন্যতম নেতা বিশ্বনাথ আগরওয়াল বলেন, যেকোনো জিনিসপত্রের দাম বাড়তে বাধ্য। আমরা অত্যন্ত চাপের মধ্যে আছি। ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে যেকোনো সময় ট্রাক মালিকরা ধর্মঘটে যেতে পারেন বলে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন।
অন্যদিকে মাছ ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা দেবাশিস জানান, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে মাছের আমদানি কমতে শুরু করেছে। সমুদ্র থেকেও কম মাছ ওঠছে। সব মিলিয়ে মাছের বাজারের পরিস্থিতিও খারাপের দিকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৮
ভিএস/আরবি/