ওই চিটফান্ডের মালিক গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে বিদেশ ভ্রমণ ও সিনেমার স্বত্ত্ব সংক্রান্ত বিষয়ে ঋতুপর্ণার কাছে জানতে চাইবেন তদন্তকারীরা। ১৭ জুলাই তাকে কলকাতার ইডির দপ্তরে তলব করা হয়েছে।
রোজভ্যালি চিটফান্ড কাণ্ডের কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে বিনোদন জগতের অনেকের যোগাযোগের প্রমাণ পেয়েছেন ইডি কর্তারা।
চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তে ইডি’র পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের আর একটি দপ্তর, সিবিআই-ও একই তথ্য পেয়েছে। তদন্ত করতে গিয়ে ইডি জেনেছে রোজভ্যালি কর্তার সঙ্গে নানা নে যোগাযোগ হয়েছিল অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের। সে কারণেই ঋতুপর্ণাকে জরুরি তলব।
প্রসঙ্গত, ঋতুপর্ণার সংস্থার নাম ‘ভাবনা আজ ও কাল’। এই সংস্থা কয়েকটি সিনেমাও তৈরি করে রোজভ্যালির হয়ে। প্রচার থেকে বিপণনের দায়িত্ব নিয়েছিল এই সংস্থা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে চুক্তিও হয়।
ইডি কর্তাদের বক্তব্য, প্রথম থেকেই এই লেনদেন তাদের কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছিল। রোজভ্যালি কর্তা খাতায়-কলমে যে পরিমাণ অর্থ লেনদেন দেখাচ্ছেন, আদৌ সেই পরিমাণ অর্থ খরচ হয়নি।
ঋতুপর্ণার কোম্পানির সঙ্গে কত অংকের চুক্তি হয়েছিল এবং ওই সংস্থাটি কত অংক পেমেন্ট পেয়েছিল, তা দেখতে চাইছেন তারা। এই অর্থ কীভাবে পেমেন্ট করা হয়, তাও দেখা হবে। তাই ভাবনা কোম্পানির নামেই চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।
এছাড়া রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে কয়েকবার বিদেশ ভ্রমণে যান অভিনেত্রী। এই খরচ নিয়েও একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। ইতোমধ্যে গৌতম বাবু ইডিকে জানিয়েছে, সমস্ত বিদেশ সফরের পুরোটাই তিনি খরচ করেছিলেন।
সত্যিই তেমনটি হয়েছিল, নাকি নিজেকে বাঁচাতে গৌতম কুণ্ডু এ কথা বলছেন, তা অভিনেত্রীর মুখ থেকেই শুনতে চাইছেন কর্তারা। যা থেকে স্পষ্ট হবে বিদেশ সফরের অর্থ কে মিটিয়েছিলেন!
এদিকে এই নোটিশ নিয়ে ঋতুপর্ণার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার বক্তব্য, ‘‘এই মুহূর্তে তিনি কলকাতায় নেই, আমেরিকায় রয়েছেন। অ্যাকাউন্ট্যান্টের কাছ থেকে শুনেছেন। তার নামে কোনো চিঠি আসেনি। ‘ভাবনা আজ ও কাল’ এর নামে এসেছে। ’’
ঋতুপর্ণা বলেন, কোম্পানির মালিক হিসেবে ইডির দপ্তরে যাবো। দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে সবরকম সহযোগিতাও করবো।
এর আগে এই চিটফান্ড কাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল অভিনেতা তাপস পাল ও মিঠুন চক্রবর্তীর। কয়েকদিন আগেও একই কারণে ডাক পড়ে অভিনেতা প্রসেনজিৎ-এরও।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৯
ভিএস/এমএ