ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

কলকাতায় মুক্তিযুদ্ধের বই উদ্বোধন করলেন তথ্যমন্ত্রী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
কলকাতায় মুক্তিযুদ্ধের বই উদ্বোধন করলেন তথ্যমন্ত্রী কলকাতা প্রেসক্লাবে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ছবি: বাংলানিউজ

কলকাতা: সম্প্রতি ৭৫ বছরে পদার্পণ করেছে কলকাতা প্রেসক্লাব। এ উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কলকাতার সাংবাদিকরা ও প্রেসক্লাব’ নামে একটি বই প্রেসক্লাবের মধ্যে মোড়ক উন্মোচন করেছেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পরে তথ্যমন্ত্রী প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সম্পাদকের হাতে স্মারক হিসেবে তুলে দেন নৌকা প্রতীক ও ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ বই দুটি।

এরপর তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ রকম ব্যতিক্রমী আয়োজনের জন্য কলকাতা প্রেসক্লাবকে ধন্যবাদ জানাই। এই বইটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য দলিল হয়ে থাকবে।

কলকাতা প্রেসক্লাব ইতিহাসের সাক্ষী ও অংশ। আমার জানা ছিল না ১৭ এপ্রিল বৈদ্যনাথ তলা মুজিবনগরের শপথের দিন আন্তর্জাতিক সাংবাদিকরা এই প্রেসক্লাব থেকে রাত ৪টার সময় গাড়ি করে রওনা দিয়েছিলেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ জনযুদ্ধে পরিণত হয়েছিল। কিছু পাকিস্তানপন্থী ছাড়া সবাই এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

দেশ ভাগ হয়েছিল ধর্মের ভিত্তিতে। কিন্তু আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা বাঙালি। সেজন্য যখন বাঙালির ওপর অত্যাচার নেমে আসে, রবীন্দ্রনাথকে অশ্রদ্ধা করা হয়, তখন আমরা চুপ থাকতে পারিনি। আর বাংলাদেশ রাষ্ট্রগঠনে কলকাতা প্রেসক্লাব ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে।

তিনি বলেন, পাকিস্তান বলেছিল, এই বাংলাদেশ কতদিন নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পারে দেখব। কিন্তু আজ পাকিস্তানের চেয়ে সমস্ত সূচকে আমরা এগিয়ে। এমনকি অনেক সূচকে আমরা আজ ভারত থেকেও এগিয়ে।

‘গত সাড়ে ১০ বছরে বাংলাদেশের জিডিপি ৮ দশমিক ৩। যা বিশ্বের অন্যতম নজির। আর তা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে। ’

হাছান মাহমুদ বলেন, আজকের এই বইটির দ্বিতীয় খণ্ড যদি ডিজিটাল আকারে প্রকাশ হয়, আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি আমিও সহযোগিতা করব। কারণ আমি আবার বলছি, এটা শুধু বই না। এটা একটি মুক্তিযুদ্ধের দলিল।

এর আগে প্রেসক্লাবের ২৩ জুলাই প্লাটিনাম জয়ন্তীর দিনে বইটি প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ওইদিন তিনি বলেছিলেন, দুই দেশ, বিশেষ করে দুই বাংলা একে অপরের সহায়ক। তারই দলিল এই পুস্তকটি।

বইটির সংকলন ও সম্পদনা করেছেন প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিষ সুর।

প্রেসক্লাবের সভাপতি বলেন, কলকাতা প্রেসক্লাব মনে করেছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কলকাতার যেসব সাংবাদিক সক্রিয়ভাবে খবর সংগ্রহের কাজে যুক্ত হয়েছিলেন, তাদের সেই লোমহর্ষক অভিজ্ঞতা দুই মলাটের মধ্যে লিপিবদ্ধ করা হোক। কারণ দুই দেশের মৈত্রী চিরকাল অটুট থাক, এটাই আমাদের একমাত্র কাম্য।

‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কলকাতার সাংবাদিকরা ও প্রেসক্লাব’ বইটি গ্রন্থাকারে তৈরির সহযোগিতায় নিজের উপার্জন থেকে এক লাখ রুপি দিয়েছিলেন কলকাতার বাংলাদেশ উপ দুতাবাসের প্রথম সচিব, প্রেস শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ড. মোফাকখারুল ইকবাল। শনিবার (১৪ সেপ্টম্বর) এই বই সম্পূর্ণভাবে তৈরি হওয়ার পর উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

এ দিনের অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ছাড়া উপস্থিত ছিলেন, কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস শুর ও সম্পাদক কিংশুক প্রামাণিক।

উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উপ দুতাবাস প্রধান তৌফিক হাসান, প্রেস সচিব মোফাকখারুল ইকবালসহ ভারতের একগুচ্ছ সাংবাদিক।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯
ভিএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।