কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে উন্নতির জন্য রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রয়োজন। অর্থাৎ কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্যেও বিজেপিকেই দরকার।
এদিন ইশতেহার প্রকাশ করে অমিত শাহ বলেন, ‘এটা সঙ্কল্পপত্র। এটা মেনেই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার চলবে। সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন নিয়ে তৈরি এই সঙ্কল্পপত্র। বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা চরমে। রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে। বাংলায় ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি। তৃণমূলের কুশাসনে বাংলার কালো অধ্যায়। যার ফলে পিছিয়ে পড়েছেন বাংলার নারীরা।
তৃণমূল, সিপিএমের পরে রাজ্যবাসী অপেক্ষায় ছিল কী ঘোষণা করে বিজেপি। কারণ অতীতেও দেখা গেছে নির্বাচনের আগে ইশতেহার ভোটের ক্ষেত্রে অনেকটাই প্রভাব ফেলে। ঠিক কী ঘোষণা করলো বিজেপি। দেশজুড়ে কৃষকরা কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষক আইনের বিরোধিতা করে পথে নেমেছে। ব্যতিক্রম পশ্চিমবাংলা।
ঠিক সেই জায়গাটা বুঝতে পেরে ইশতেহারে বলা হয়েছে ক্ষমতায় এলে বছরে সরাসরি ১৮ হাজার রুপি করে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে যাবে। কৃষক সুরক্ষা পরিকাঠামো উন্নতির জন্য ৫ হাজার কোটি রুপির ফান্ড গড়া হবে। মৎস্যজীবী ও কৃষকদের ৩ লাখ রুপি পর্যন্ত সরকারি বিমা দেওয়া হবে। নৌকা ১০০ শতাংশ যন্ত্রীকরণ। আরও ৫টি মেগা দুগ্ধপ্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র গড়া হবে রাজ্যে।
এর সঙ্গে বলা হয়েছে রাজ্যেজুড়ে সীমান্ত নিশ্ছিদ্র করা এবং অনুপ্রবেশ রোখার দিকে বাড়তি নজর। কয়লা, বালি মাফিয়াদের জন্য আলাদা টাস্কফোর্স। মাদক, বেআইনি অস্ত্র কারবার, গো পাচার রুখতে ব্যবস্থা।
প্রথম রাজ্যে মন্ত্রিসভা গঠন হলেই ‘আয়ুষ্মান ভারত’ স্কিম চালু করা হবে। যাতে সবাই সহজে চিকিৎসা পরিষেবা পায়। পশ্চিমবঙ্গ বাদে গোটা ভারতেই এই স্কিম চালু আছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর জন্য মমতার সরকারের বিরোধিতায় এই স্কিম রাজ্যে চালু নেই।
বলা হয়েছে সরকারি পরিবহনে নারীদের ফ্রি যাতায়াত ব্যবস্থা চালু হবে। জোর দেওয়া হয় শৌচালয় ও পানীয় জলের উপর। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্রীদের আর্থিক সাহায্য, ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে ৩ হাজার রুপি ও রাজ্যে বিধবাদের জন্য মাসিক ভাতা ৩ হাজার রুপি। নারীদের নিরাপত্তা আরও সুনিশ্চিত করা হবে।
ভূমিহীন কৃষকদের ছেলেমেয়েদের গ্র্যাজুয়েশন পর্যন্ত বিনামূল্যে পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হবে।
এছাড়া নোবেল প্রাইজের মতো টেগোর প্রাইজ চালু হবে। অস্কারের মতো সত্যজিৎ রায় পুরস্কার দিয়ে বাংলার সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হবে। আরও একগুচ্ছ প্রকল্প চালু করা হবে বলে ইশতেহারে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২১
ভিএস/এএ