কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে ২৯৪টি আসনে ৮ দফা নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোট বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
নিরাপত্তার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ৬৫১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী অর্থাৎ ৬৫ হাজার ১শ জন আধা সামরিক সেনাবাহিনী ভোটকেন্দ্রগুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া রাজ্য পুলিশ থেকে নেওয়া ১১ হাজারের মত সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। সব মিলিয়ে ৭৬ হাজারের বেশি নিরাপত্তাবাহিনী সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে, ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে রাজ্যসহ গোটা ভারতের নজর থাকবে পুর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে। কারণ এটি হাড্ডাহাড্ডি নির্বাচনী লড়াইয়ে অন্যতম পীঠস্থানে পরিণত হয়েছে। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন স্বয়ং মমতা বন্দোপাধ্যায়। অপরদিকে তারই একসময়ে অনুগামী শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন। অন্যদিকে এই দুই হেভিওয়েট ক্যান্ডিডেটেরে গলার কাঁটা হয়েছেন বাম-কংগ্রেস-আব্বাস জোট অর্থাৎ সংযুক্ত মোর্চার ২৭ বছর বয়সী সিপিএমের স্টার ক্যাম্পেনার মীনাক্ষী মুখার্জী।
এই কেন্দ্রটি হাইভোল্টেজ কেন্দ্র বলে চিহ্নিত করেছেন নির্বাচন কমিশন। ফলে এখানে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা থাকবে। ভোট দেওয়া ছাড়া অযথা জমায়েত করা যাবে না। এর কারণে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়তি মোতায়েন করা হয়েছে। একইসঙ্গে এখানকার ৩৫৫টি ভোটকেন্দ্রকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছে কমিশন। বুথে বুথে ঘোরার জন্য মমতা-শুভেন্দুকে বাড়তি নিরাপত্তা দেবে নির্বাচন কমিশন।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, নন্দীগ্রাম আসনটি খুব সহজে জয় আসবে না কোনো রাজনৈতিক দলের কাছে। কারণ এখানে বড় ফ্যাক্টর সংখ্যালঘু মুসলিম ভোট ২২ শতাংশের বেশি। এই ভোট যার ঝুলিতে যাবে সে দল অনেকটাই এগিয়ে থাকবে জয়ের দিকে বলে মনে করছেন তারা। এছাড়া দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের ৩ জন টলিউড তারকা প্রার্থী আছেন। তৃণমূলের তরফের আছেন অভিনেতা সোহম। যিনি মেদিনীপুর জেলার চন্ডীপুর থেকে প্রার্থী হয়েছেন এবং অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায় প্রার্থী হয়েছেন বাঁকুড়া জেলা থেকে। তবে, ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী সংযুক্ত মোর্চা, তৃণমূল এবং বিজেপি। এছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দল মিলিয়ে প্রার্থী রয়েছে ১৭১ জন। আর এদের ভাগ্য নির্ধারণ করছে ৭৫ লাখ ৯৪ হাজার ৫৪৯ জন ভোটার। ৩০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে ১০ হাজার ৬২০টি বুথে। ভোট হচ্ছে ইভিএমের মাধ্যমে। ফলে দ্বিতীয় দফার যে রাজনৈতিক দল এই ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্র নিজের ঝুলিতে রাখতে পারবে সেই দল পশ্চিমবঙ্গে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২১
ভিএস/এএটি