কলকাতা: নারদা ঘুষকাণ্ডের মামলায় সোমবার (১৭ মে) তৃণমূলের দুই মন্ত্রী ও নেতাদের সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারের প্রতিবাদে অশান্ত বাংলা। একদিকে রাজ্যে করোনা ভাইরাস রুখতে লকডাউন চলছে।
দলের মন্ত্রী ও নেতাদের গ্রেফতারের পর সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে রাজ্যের নিজাম প্যালেসে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই বাইরে জড়ো হতে থাকেন তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকরা। এ সময় দলীয় পতাকা হাতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
মন্ত্রীদের গ্রেফতার করতে হলে তাকেও গ্রেফতার করতে হবে, এমন চড়া মেজাজে কলকাতার সিবিআই দপ্তর নিজাম প্যালেসের ভেতরে এখনও অবস্থান করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এরপরই সময় যত গড়াতে থাকে, ততই সিবিআই দপ্তর নিজাম প্যালেসের সামনে জমায়েত বাড়তে থাকে তৃণমূল সমর্থকদের। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সড়ক অবরোধ চলে হুগলির আরামবাগে। গ্রেফতারের প্রতিবাদে আসানসোলের হটন মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন তৃণমূলের কর্মীরা। অন্যদিকে, মদন মিত্রর গ্রেফতারির প্রতিবাদে কামারহাটির বিটি রোডে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন তৃণমূলের কর্মীরা।
তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থদের দাবি সিবিআই ১৩ জনের নামে মামলা করেছিল। সেই মামলায় অভিযুক্ত দুই বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায়ের নাম নেই কেন। তাদেরও কেন গ্রেফতার করা হয়নি। প্রকাশ্যে রাজ্য বিজেপির প্রায় কোনো নেতাই এর জবাব দিতে চাননি।
এদিকে বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, নারদা ঘুষকাণ্ডের তদন্ত চলছে। তথ্যপ্রমাণ অনুযায়ী সিবিআই যখন যাকে দরকার মনে করবে তাকে গ্রেফতার করবে। এনিয়ে রাজনীতির কোনো সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন>>
** পশ্চিমবঙ্গে ৪ হেভিওয়েট সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার
** আমার মন্ত্রীদের গ্রেফতার করলে আমাকেও করতে হবে: মমতা
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২১
ভিএস/আরআইএস