ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ইন্টারনেটও মানবাধিকার বললেন তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০১৫
ইন্টারনেটও মানবাধিকার বললেন তথ্যমন্ত্রী ছবি: কাশেম হারুন/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ইন্টারনেটকে মানবাধিকার গণ্য করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রত্যেক নাগরিকের কাছে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
 
রোববার (২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর হোটেল রেডিসনে ‘সম্ভাবনার ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

লার্ন এশিয়ার সহায়তায় গ্রামীণফোন ও টেলিনর গ্রুপ এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাঈদ আহমেদ পলক, লার্ন এশিয়ার প্রধান রোহান সামারাজিব, গ্রামীণফোনের সিইও রাজিব শেঠি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (এটুআই প্রকল্প) প্রতিনিধি, আইটি বিশেষজ্ঞ ও মিডিয়া প্রতিনিধিরা।
 
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ছয়টি স্তরের মধ্য দিয়ে এগুচ্ছি। এগুলো হল; সামরিক ও সাম্প্রদায়িক কালিমা মোছন, সামরিক ও সাম্প্রদায়িকতা থেকে উত্তরণ, সমাজের সর্বক্ষেত্রে তথ্য যোগাযোগের মাধ্যমে মেধাকে কাজে লাগানো, বৈষম্যহীন সমৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং বিশ্বায়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়া। আর এসবের সঙ্গেই ডিজিটালাইজেশনের সম্পর্ক।
 
হাসানুল হক ইনু মনে করেন, একসঙ্গে গ্রাম ও শহরের উন্নয়নের জন্য ইন্টারনেটের আধেয়গুলোকে মাতৃভাষায় করতে হবে। ইন্টারনেটের উপর শুল্ক এবং করের বোঝা কমিয়ে দিয়ে সকল নাগরিকের ইন্টারনেট পাওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। একই সঙ্গে সাইবার ক্রাইম থেকে বাঁচার জন্য ও অপরাধীদের ধরতে সমন্বিত সাইবার আইন তৈরি করতে হবে।
 
‘সম্ভাবনার ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে- ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে জ্ঞাননির্ভর, মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করতে পাঁচটি বিষয়ের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো- যুবসমাজের কর্মসংস্থান, ই-সরকার, স্বাস্থ্যসেবার ঘাটতি দূর করা, শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ ও জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। আর এসবের ভিত্তি হবে সর্বব্যাপী ইন্টানেট সংযোগ।
 
এজন্য একটি রোডম্যাপও দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। যেখানে সরকারকে-নাগরিকদের যোগাযোগের বিকল্প তৈরি করা এবং ইউনিয়ন ডিজিটাল কেন্দ্রের মাধ্যমে বেসরকারি সেবা প্রদান, পর্যাপ্ত ব্রডব্যান্ড সেবার মাধ্যমে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করা, কর ব্যবস্থার যৌক্তিকীকরণে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠনের কথা বলা হয়েছে।
 
নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে- বিপিও এবং সফটওয়্যার লাইসেন্সের শর্ত পুনর্মূল্যায়ন করে বিদেশি ফার্ম-এর বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার ব্যবস্থা গ্রহণ; একটি গ্রহণযোগ্য স্পেক্ট্রাম রোডম্যাপ ঘোষণা এবং প্রযুক্তি নির্বিশেষে নিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ; দেশব্যাপী ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপন ও বিক্রির প্রতিযোগিতা উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।

এই প্রতিবেদনে যুবসমাজকে আইসিটি বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া; বিদ্যালয়গুলোতে সংযোগ, বিনামূল্যে ইন্টারনেট ঘণ্টা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া; ক্রমবর্ধমান মোবাইল স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকারীদের জন্য মাল্টি-স্টেকহোল্ডার উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৫
এসইউজে/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।