ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বিটিআরসিকে পুনরায় সিম নিবন্ধনে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৫
বিটিআরসিকে পুনরায় সিম নিবন্ধনে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম

ঢাকা: পুনরায় সব মোবাইল অপারেটরের সিমকার্ড নিবন্ধনে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।

মঙ্গলবার (০৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বিটিআরসিকে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।



তারানা হালিম নিজ দফতরে বাংলানিউজকে বলেন, হয়রানি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও জঙ্গিবাদ এড়াতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ মাসের মধ্যেই বিটিআরসি’র নির্ধারিত ফরমে যথাযথভাবে নিবন্ধন ও পুনঃনিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, এ মাসের মধ্যেই বিটিআরসি’র নির্ধারিত ফরমে যথাযথভাবে নিবন্ধন ও পুনঃনিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করা হবে। অপাটেরটের সঙ্গে এ সপ্তাহে বৈঠক করা হবে। এ মাসের মধ্যই কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। প্রক্রিয়াটি সঠিক হতে হবে। প্রয়োজনে এক মাস দেরি হলেও তা শুরু করবো।
 
বিটিআরসি চেয়ারম্যান সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) কমিশনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সঠিকভাবে নিবন্ধনকৃত সিম পুনরায় নিবন্ধন করতে হবে না।
 
একদিন পর তারানা হালিম বলেন, বর্তমানে কতোগুলো সিম কার নামে নিবন্ধিত আছে তার সুনির্দিষ্ট কোনো মেকানিজম নেই। এতে অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। অনেক সময় ইনোসেন্ট ব্যক্তিও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সিম পুনঃনিবন্ধিত হলে একটা সিস্টেমের মধ্যে আসবে। বিটিআরসিকে সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
 
নির্ধারিত সময়ে সিম নিবন্ধন না করলে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, বন্ধ সিমগুলো পুনরায় নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হবে।
 
বিটিআরসি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত জুলাই মাস নাগাদ বাংলাদেশে মোবাইল ফোন গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৮৭ লাখ।
 
সিম নিবন্ধনে গ্রাহক পর্যায়ে ভোগান্তি হলেও হয়রানি এড়াতে জনগণ সাহায্য করতে প্রস্তুত আছে বলে দাবি করেন প্রতিমন্ত্রী।
 
তারানা হালিম বলেস, সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় এনআইডিতে (জাতীয় পরিচয়পত্র) অ্যাক্সেস প্রাপ্তির বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি হবে।
 
আর যতোদিন এনআইডি’র অ্যাক্সেস পাওয়া যাবে না, ততোদিন জন্ম নিবন্ধন সনদ ও পাসপোর্ট দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিটিআরসি অবৈধ ও নকল সিম জব্দ করতে অভিযান অব্যাহত রাখবে এবং পুলিশের সহায়তায় অভিযান চলবে। এজন্য জেলা প্রশাসকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।  
 
বিটিআরসিতে পাঠানো চিঠিতে সকল মোবাইল অপারেটরদের জব্দকৃত সিম নম্বর প্রদান করে ওই সিম ডিস্ট্রিবিউটর ও রিটেইলারদের কাছে (অনিবন্ধিত ও ফেইক) কিভাবে বিক্রির জন্য পাঠানো হলো তার ব্যাখ্যা চাওয়ার জন্য চিঠি পাঠাতে বলা হয়।
 
ডিস্ট্রিবিউটর ও রিটেইলারদের প্রকৃত সংখ্যা ও বৈধ কাগজপত্র বা লাইসেন্স প্রদানে সাতদিনের মধ্যে বাধ্যবাধকতা প্রদান এবং বিটিআরসি বরাবর এর ব্যাখ্যা প্রদানেও চিঠি দিতে হবে। ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে জরিমানার আওতায় আনার বিষয়ে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার কথা জানায় বিটিআরসি।
 
প্রতিটি মোবাইল ফোন অপারেটরকে নির্ধারিত বিজ্ঞাপন ও বিলবোর্ডের নিচে পৃথক সতর্কীকরণ বার্তা তামাকজাত পণ্যের নিচে সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণের মতো হুবহু টিভি বিজ্ঞাপন ও বিলবোর্ডে সাতদিনের মধ্যে প্রচারের কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্যও বলা হয়েছে।
 
‘অবৈধ ও অনিবন্ধিতকৃত সিম ব্যবহার দেশ ও আপনার জন্য বিপদজনক। এখনই সিম বৈধভাবে নিবন্ধন করুন’- এমন বার্তা দিতে হবে।
 
সকল মোবাইল অপারেটরকে ‘আপনার নিবন্ধনকৃত ও অনিবন্ধনকৃত সিম পুনরায় নিবন্ধন করুন। নতুবা তা বন্ধ করে দেওয়া হবে’- এমন ক্ষুদে বার্তা দিতে হবে।
 
চিঠিতে বলা হয়, পত্রিকায় লাল হরফে বিজ্ঞাপন দিতে হবে এবং একটি সিমকার্ডে ‘ক্রস’ চিহ্ন দিয়ে বিজ্ঞাপনে বলা হবে, ‘আপনার অনিবন্ধনকৃত বা নিবন্ধিত সিম বিটিআরসি প্রদত্ত ফর্মে যথাযথভাবে নিবন্ধন ও পুনঃনিবন্ধন করুন’।
 
১০ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন না করলে সিম বন্ধ করে দেওয়া হবে।
 
মোবাইল ফোন অপারেটরদের সকল ডিস্ট্রিবিউটর ও রিটেইলারদের তালিকা প্রস্তুত ও তাদের সকলের বৈধ শনাক্তকরণ কাগজ প্রদান নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে।
 
গ্রাহককে বিনামূল্যে কোনো সিম দেওয়া যাবে না।
 
চিঠিতে বলা হয়, সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় এনআইডিতে অ্যাক্সেস প্রাপ্তির বিষয়টি সকল অপারেটরকে নিশ্চিত করতে হবে এবং তা দ্রুত কার্যকর করতে হবে।  
 
চিঠি পাঠানোর দু’দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে চিঠি দিতে বলেছে বিটিআরসি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৫
এমআইএইচ/এএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।