ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

এক দেশ এক রেটের জন্য পুরস্কার পেল বাংলাদেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২২
এক দেশ এক রেটের জন্য পুরস্কার পেল বাংলাদেশ

ঢাকা: সারাদেশে ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সেবার জন্য একটি বৈষম্যহীন ‘এক দেশ এক রেট’ ট্যারিফ প্রবর্তনের স্বীকৃতি হিসেবে ‘এনভাইরোনমেন্টাল, সোশ্যাল অ্যান্ড গভর্নেন্স' ক্যাটাগরিতে অ্যাসোসিও-২০২২ পুরস্কার অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

এশিয়া-ওশেনিয়া অঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উল্লেখ্যযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এশিয়ান-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশন (অ্যাসোসিও) এ পুরস্কার দিয়ে থাকে।

 

অ্যাসোসিও এর মতে, এই ‘এক দেশ এক রেট’টি বাংলাদেশে প্রযুক্তির বিকাশ ও প্রয়োগে অসামান্য অবদান রাখার মাধ্যমে এশিয়া-ওশেনিয়া অঞ্চলের অর্থনীতির জন্য এটি একটি চমৎকার উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হবে।

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সিঙ্গাপুরের রিসোর্টস ওয়ার্ল্ড সেনতোসা কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত অ্যাসোসিও ওয়ার্ল্ড সামিট-২০২২ এ বাংলাদেশের পক্ষে বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ অ্যাসোসিও চেয়ারম্যান ডেভিড ওয়াংয়ের কাছে থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিটিআরসি।

বিজ্ঞপ্তিতে বিটিআরসি জানায়, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮ এর অনুচ্ছেদ ৩.২১ এ প্রতিশ্রুতি ‘ইন্টারনেট ও মোবাইল ব্যবহারের মূল্য যুক্তিসঙ্গত পর্যায়ে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের নির্দেশনায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন প্রচলিত ইন্টারনেটের ট্যারিফ, কস্ট কম্মনেন্ট পর্যালোচনা ও বাজার বিশ্লেষণ করে সব পক্ষের  (এনটিটিএন, আইআইজি ও আইএসপি) জন্য একটি গ্রহণযোগ্য ট্যারিফ নির্ধারণ করে, যা সরকারের অনুমোদনক্রমে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়। এর ফলে মোবাইল ইন্টারনেটের দামের ক্ষেত্রে গত বছর জাতিসংঘের ব্রডব্যান্ড কমিশনের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে জাতিসংঘের ব্রডব্যান্ড কমিশন ইন্টারনেটের দামের একটি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়। লক্ষ্য অনুযায়ী, একটি দেশের জাতীয় মাথাপিছু আয় যা হবে, তার দুই শতাংশের কম খরচ হবে ইন্টারনেট বাবদ। ২০২১ সালে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের দাম জাতিসংঘের বেঁধে দেওয়া এ সীমার মধ্যেই ছিল।

বিটিআরসি বলছে, সারাদেশে ইন্টারনেটের ‘এক দেশ, এক রেট’ ট্যারিফ বাস্তবায়নের ফলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দৃশ্যমান পরিবর্তন সাধিত হবে। দেশের জনসাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে গুণগত শিক্ষা ও মানসম্মত দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেটের চাহিদা এবং ব্যবহার বাড়বে বিধায় এসব এলাকায় বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো যেমন আইসিটি ইনকিউবেটর, আইটি শিল্প পার্ক, আইসিটি নির্ভর শিল্প কারখানা প্রভৃতির চাহিদা বাড়বে এবং সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে এ ধরনের অবকাঠামো নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হবে। দেশের সব স্থানে এক মূল্যে ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাবে বিধায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত জনসাধারণ বিভিন্ন ই-সার্ভিস গ্রহণে আগ্রহী হবে। দেশে ডিজিটাল ডিভাইস দূর করার মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া দুর্বল জনগোষ্ঠীর কাছে বিভিন্ন নাগরিক সেবা সহজে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে এবং দেশের একটি কার্যকর ই-গভার্নেন্স প্রতিষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২২ 
এমআইএইচ/আরআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।