দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ হোক- জাতিসংঘের এমন দাবি তোলা উচিত।
রোববার এক বিবৃতিতে উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম সন গিয়ং বলেন, মহড়া ও মিত্রদের বক্তব্য উত্তেজনাকে অত্যন্ত বিপজ্জনক পর্যায়ে ঠেলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালোভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়াকে এই উসকানিমূলক মন্তব্য এবং যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ করতে বলতে হবে।
শুক্রবার সিওল ও ওয়াশিংটন ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে বড় পরিসরে সামরিক মহড়া চালানোর ঘোষণা দেয়। সেই ঘোষণার পরই উত্তর কোরিয়া এমন বিবৃতি দিল।
মিত্ররা বলছে, এই সামরিক মহড়া প্রতিরক্ষামূলক এবং উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের বাড়তে থাকা হুমকির পাল্টা জবাব। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কার্যক্রম জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক নিষিদ্ধ।
কিন্তু পিয়ংইয়ং এই মহড়াকে হামলার মহড়া হিসেবে দেখছে। শনিবার ওয়াশিংটনের ওপর দায় চাপিয়ে পিয়ংইয়ং বলে, আন্তর্জাতিক অস্ত্র নিয়ন্তণ ব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছে। তাদের পারমাণবিক অস্ত্রশস্ত্র এই অঞ্চলে শক্তির ভারসাম্য রক্ষার সবচেয়ী নিশ্চিত উপায়।
শুক্রবার সিওল ও ওয়াশিংটন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ পাল্লার বম্বার ও দক্ষিণ কোরিয়ান যুদ্ধবিমান নিয়ে আকাশ মহড়া চালিয়েছে।
কিম সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, মিত্রদের দায়িত্বহীন কাজকর্ম আঞ্চলিক পরিস্থিতিকে সংকটপূর্ণ এবং অনিয়ন্ত্রিত দশায় নিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, দুঃখজনক হলো জাতিসংঘ দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের মহড়া নিয়ে চুপ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ৫ , ২০২৩
আরএইচ