ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ থামাতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সহযোগিতা চেয়েছেন। খবর বিবিসি।
চীনের প্রেসিডেন্টকে তিনি বলেন, রাশিয়াকে জ্ঞানে ফেরাতে এবং সবাইকে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে আমি আপনার ওপর নির্ভর করতে পারি।
শি বলেছেন, বিশ্বশান্তি রক্ষায় তাদের দুই দেশেরই সক্ষমতা ও দায়িত্ব রয়েছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলেছে, শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির কোনো সম্ভাবনা এখনো নেই। আক্রমণ চলবেই।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এখন চীন সফরে রয়েছেন। পশ্চিমাদের সঙ্গে গত কয়েক বছর ধরেই চীনের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে। চীন ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার নিন্দা জানাতে অস্বীকৃতি জানানো একটি দেশ।
ম্যাক্রোঁ অবশ্য চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক বন্ধনও জোরালো করতে চাইছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েনের সঙ্গে তিনি চীনা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পেয়ে সে দেশে গিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ম্যাক্রোঁ বেইজিংয়ে এক সামরিক কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এর পরই তিনি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যোগ দেন। চীন ও ফ্রান্সের কর্মকর্তারা অবশ্য এই বৈঠককে খোলাখুলি ও বন্ধুত্বপূর্ণ বলছেন।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শি বলেন, চীন শান্তি আলোচনার জন্য সমর্থন দেয় এবং এর রাজনৈতিক সমাধান চায়। পাশাপাশি চীন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে যৌক্তিক সংযমের আহ্বান জানাচ্ছে।
সংঘাতে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার করা উচিত নয় বলেও নিজের মত পুনর্ব্যক্ত করেন শি জিনপিং। রাশিয়া চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে বলেছিল, বেলারুশে ন্যাটো দেশগুলোর মিত্রের পশ্চিম সীমান্তের কাছে তারা পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করবে।
ম্যাক্রোঁ বলেন, যতদিন ইউক্রেন কারো দখলে থাকবে ততদিন ইউরোপ নিরাপদ ও স্থিতিশীল হবে না। এটি অগ্রহণযোগ্য যে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি দেশ সংস্থাটিরই সনদ লঙ্ঘন করছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট সৌহার্দ্যপূর্ণ ও কখনো কখনো উষ্ণ কণ্ঠে কথা বলছিলেন। তার কোনো প্রশ্ন করেননি। ধীরে ভন ডার লিয়েনের সঙ্গে আলোচনা করতে চলে যান।
এই সফরের শুরুতেই ম্যাক্রোঁ সাংবাদিকদের বলছিলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শেষ করার ক্ষেত্রে বেইজিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
কয়েকদিন আগেই ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে চীন ১২ দফা প্রস্তাব দেয়। সম্প্রতি রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন চীনা প্রেসিডেন্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২৩
আরএইচ