‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ বেবি পাউডারে অ্যাসবেস্টসের নমুনা পাওয়া গেছে, যা শিশুদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। যার ফলে হতে পারে ক্যান্সার।
তবে এর মধ্যে নতুন খবর হচ্ছে, এসব মামলা নিষ্পত্তি করতে ৮৯০ কোটি মার্কিন ডলারের মাধ্যমে সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন। এমন খবরে ফের আলোচনায় এসেছে বিশ্ববিখ্যাত এ প্রতিষ্ঠানটি।
ওই অর্থ সব মামলাকারীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে বলে সংস্থাটি প্রস্তাব দিয়েছে। যদিও জনসন অ্যান্ড জনসন শুরু থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। বরং তারা বলছে, যে অভিযোগ উঠেছে তার সপক্ষে তেমন কোনো মজবুত বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
৩৫ হাজার নারী জরায়ুর ক্যান্সারের জন্য জনসনকে দায়ী করে মামলা দায়ের করেন। তারা সবাই এই পাউডার ব্যবহার করতেন। মামলার পর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমেই কমতে শুরু করে পাউডারটির চাহিদা। যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত এই সংস্থাকে ১৫ হাজার কোটি টাকা জরিমানার ‘সাজা’ দিয়েছিলেন। কিন্তু শিশুপণ্যে এমন ক্ষতিকারক পদার্থ থাকা উচিত নয় জানিয়ে আদালত বলেন, এই অপরাধের শাস্তি শুধু অর্থের জরিমানায়ই শেষ হতে পারে না।
২০১৫ সালে ওভারিয়ান ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৬২ বছরের জ্যাকি ফক্স। জ্যাকির পরিবার জানায়, দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে জনসন অ্যান্ড জনসন-এর ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করেছেন তিনি। তারা অভিযোগ করেন, জ্যাকির এই মরণ রোগের কারণ ওই পাউডারই।
সেন্ট লুইসের আদালত জনসন অ্যান্ড জনসনকে জরিমানার নির্দেশ দেন। গোটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই এই হেলথ কেয়ার ফার্মের বিরুদ্ধে এক হাজারটি মামলা দায়ের হয়। আইনজীবীরা জানান, আরও হাজারেরও বেশি মামলা আদালতে ওঠার অপেক্ষায় আছে। যদিও সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে জনসন অ্যান্ড জনসন কর্তৃপক্ষ। তারা দাবি করেছে, তাদের সব পণ্যই সুরক্ষিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২৩
এসআইএ