নারীদের হিজাব ইস্যুতে আরও কঠোর হচ্ছে ইরান। হিজাব না পরা নারীদের শনাক্তকরণ ও শাস্তির আওতায় আনতে দেশটি জনসমাগমস্থলে ক্যামেরা বসাচ্ছে।
ইরানি পুলিশ নতুন এক পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে। ইরানে নারীদের পোশাকবিধি না মানার ক্ষেত্রে লাগাম টানতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
শনিবার এক বিবৃতিতে পুলিশ বলেছে, হিজাব ছাড়া কোনো নারীকে শনাক্ত করা হলে তাকে সতর্কবার্তা পাঠানো হবে।
বিচার বিভাগের সংবাদ সংস্থা মিজান এক বিবৃতিতে বলছে, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হিজাব আইনের বিরুদ্ধে যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে তা ঠেকানো। রাষ্টীয় আরেকটি গণমাধ্যম বলছে, এই ধরনের প্রতিবন্ধকতা দেশের আত্মিক ভাবমূর্তি নষ্ট করছে ও নিরাপত্তাহীনতা বাড়াচ্ছে।
পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, হিজাবের আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত কোনো আচরণ ও কর্মকাণ্ড সহ্য করবে না।
গেল সেপ্টেম্বরে ইরানে নীতি পুলিশের হেফাজতে ইরানে মাশা আমিনি নামে এক তরুণী মারা যান। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি পোশাকবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এরপর দেশটিতে বাধ্যতামূলক হিজাব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করে।
শনিবার পুলিশের দেওয়া বিবৃতিতে দোকান মালিকদের বলা হয়, তারা যেন সামাজিক নিয়ম পালনের ওপর নজর রাখে।
১৯৭৯ সালে বিপ্লবের পর জারি হওয়া ইরানি আইন অনুযায়ী নারীদের চুল ঢেকে রাখতে হয়, তাদের দীর্ঘ ও ঢিলেঢালা পোশাকে শরীর ঢেকে রাখতে হয়। আইন অমান্যকারীদের তিরস্কার, জরিমানা ও গ্রেপ্তারের শিকার হতে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২৩
আরএইচ