তাইওয়ান নিয়ে দুটি চরম বিন্দুতে দাঁড়িয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। যুক্তরাষ্ট্র কড়া অবস্থান নিয়েছে, অন্যদিকে চীন চরম প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে।
এই অবস্থানকে ম্যাক্রো তৃতীয় মেরু হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
রোববার ফ্রান্সের একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকার মাক্রোঁ বলেছেন, চীনের অভিযোগ, তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত নাক গলাচ্ছে। আবার চীন যেভাবে তাইওয়ানের সমুদ্রে সামরিক মহড়া শুরু করেছে, তা-ও গ্রহণযোগ্য নয়। ফলে ইউরোপকে একটি তৃতীয় বিকল্প খুঁজতে হবে।
তিনি বলেন, ইউরোপকে একটি মধ্যবর্তী অবস্থান নিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় হাঁটলে চলবে না।
বিশ্ব রাজনীতির প্রসঙ্গ তুলে মাক্রোঁ বলেন, একসময় ইউরোপ তার নিজের নীতি, নিজের কৌশল তৈরি করত। তবে অনেকগুলো বছর ধরে ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল অনুসরণ করছে। এটা বদলানো দরকার। ইউরোপকে নিজের কৌশল, নিজের অবস্থান তৈরি করতে হবে। সেটা ইইউ-কে জোট বেঁধে করতে হবে।
কৌশলগত অবস্থানের প্রসঙ্গে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন মাক্রোঁ। তিনি বলেন, সার্বিকভাবে ইউরোপীয় দেশগুলোর সামরিক বাজেট বাড়ানো দরকার। যে পরিমাণ অস্ত্রের প্রয়োজন, সেই পরিমাণ অস্ত্রের জোগান নেই। এর ফলে ইউরোপকে অস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এবং এশিয়ার দেশগুলোর মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন দ্রুত তাদের অস্ত্রের ভাণ্ডার বাড়িয়ে চলেছে। এখানেও ইউরোপের দেশগুলো পিছিয়ে পড়ছে। এখানেও ইউরোপকে বিকল্প অবস্থান নিতে হবে।
তাহলে কি তাইওয়ান নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কথা বলবে না- এমন প্রশ্নের জবাবে মাক্রোঁ বলেন, তাইওয়ানে শান্তি যাতে বজায় থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে ইউরোপ। কিন্তু তার বেশি কথা বলবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন যেমন একটি ইউনিট তেমন চীনও এক চীন নীতির উপর দাঁড়িয়ে একটি ইউনিট তৈরি করতে চাইছে। তাইওয়ান তার অংশ। ফলে সেখানে ইউরোপের নাক গলানোর কোনো জায়গা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৩
এমএইচএস