সুদানে গেল কয়েকদিন ধরে সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘাত চলছে। এই সংঘাতের ইতি টানার ক্ষেত্রে দুই পক্ষ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করবে- এমন কোনো লক্ষণ নেই।
দেশটিতে ৭২ ঘণ্টার অস্ত্রবিরতি চলছে। যা কার্যতই দুর্বল। এই অস্ত্রবিরতির মধ্যেও রাজধানী খার্তুমের কৌশলগত স্থানসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সশস্ত্র সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে। খবর আল জাজিরা।
সুদানে জাতিসংঘের দূত ভলকার পার্থেস মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এমনটিই বলেন। সংঘাতে জড়ানো দুই পক্ষই বিশ্বাস করে তারা জয় পাবে।
পার্থেস বলেন, এখনও কোনো দ্ব্যর্থহীন চিহ্ন নেই যে, তারা গুরুতরভাবে আলোচনা করতে প্রস্তুত। এর অর্থ হলো দুই পক্ষই মনে তারা সামরিক বিজয় পাবে।
সুদানে জাতিসংঘসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা তাদের কর্মীদের পশ্চিমাঞ্চলের পোর্ট সুদানে সরিয়ে নিয়েছে। সেখান থেকে ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে দূত বলেন, এটি একটি ভুল হিসাব।
মঙ্গলবার শুরু হওয়া সেনাবাহিনী (এসএএফ) ও আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যকার সাময়িক অস্ত্রবিরতি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, কিছু কিছু এলাকায় অস্ত্রবিরতি চলছে। তবে কৌশলগত কয়েককটি অঞ্চলে গোলাগুলিও চলছে। গোলাগুলি ও সৈন্যদের চলাফেরার খবর পাচ্ছি।
পার্থেস বলেন, সংঘাতে জড়ানো দুই পক্ষই যুদ্ধের আইন ও নিয়ম উপেক্ষা করছে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় হামলা করছে। বেসামরিক, হাসপাতাল এমনকি আহত ও অসুস্থদের পরিবহন করা যানবাহনকেও খুব অল্প ছাড় দিচ্ছে।
এই সংঘাত মানবিক বিপর্যয় তৈরি করেছে। বেসামরিকদের ক্ষয়ক্ষতি বইতে হচ্ছে, বলেন তিনি।
খার্তুমে আবাসিক এলাকা যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। বন্দুক হামলা, ট্যাংকের মাধ্যমে গোলাগুলি, বিমান হামলা, কামানের গোলায় এ পর্যন্ত ৪৫৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন চার হাজারেরও বেশি মানুষ। বিদ্যুৎ ও পানির লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সুদানের এই সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলাকে হৃদয়বিদারক বলে আখ্যা দিয়েছেন। মঙ্গলবার তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এই সংঘাত ওই অঞ্চলের আরও দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
তিনি বলেন, সুদানের সঙ্গে সাতটি দেশের সীমানা রয়েছে, যেগুলো গেল এক দশকের বেশি সময় ধরে সংঘাতে লিপ্ত কিংবা গুরুতর নাগরিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২৩
আরএইচ