পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির ভারত সফরের তীব্র সমালোচনা করেছে পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। এরই মধ্যে দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খুশি করতেই তার এ সফর।
২০১১ সালের পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারতে এটি প্রথম সফর। এর আগে পাকিস্তানের তৎকালীন কূটনীতিক হিনা রব্বানি খা প্রতিবেশী দেশটি সফর করেছিলেন।
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর গোয়ায় বৃহস্পতিবার (৪ মে) থেকে শুরু হয়েছে দুই দিনের সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক। এ বৈঠকে যোগ দিতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর শীর্ষ কূটনীতিকরা ভারতে এসেছেন।
যখন চীন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকটিতে উপস্থিতি নিশ্চিত হয়, তখন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি গোয়ার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে বলেন, এ বৈঠকে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত এসসিওর সনদের প্রতি পাকিস্তানের দৃঢ় প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরবে।
তিনি টুইটারে বলেন, আমি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার জন্য উন্মুখ। আমার সফরের মাধ্যমে এসসিওতে তা গুরুত্বসহকারে তুলে ধরব।
বিলাওয়াল বলেন, বৈঠকে আমাদের অংশগ্রহণ এসসিও সনদ ও প্রক্রিয়াগুলোর প্রতি পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করবে। এছাড়া পাকিস্তান তার পররাষ্ট্র নীতির অগ্রাধিকারে এ অঞ্চলকে যে গুরুত্ব দেয় তা প্রতিফলিত হবে।
ভারত আট জাতি সংস্থার বর্তমান সভাপতি। দেশটি চলতি বছরের শেষের দিকে এসসিও নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবে।
মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকটিতে জুলাইয়ে নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হবে। এতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে মত বিনিময়েরও কথা রয়েছে।
বৈঠকে এসসিওতে ইরান ও বেলারুশকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা হবে।
বর্তমানে গ্রুপটির সদস্য সংখ্যা ৮। সদস্য রাষ্ট্রগুলো হলো-ভারত, রাশিয়া, চীন, পাকিস্তান, কাজাখাস্তান, তাজিকাস্তান এবং উজবেকিস্তানসহ চারটি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র ও তুরস্কসহ ছয়টি সংলাপে অংশ নেবে।
গত বছর উজবেকিস্তানের সমরখন্দে এসসিও প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানও উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০২৩
জেএইচ