উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ সাবমেরিনের খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি। অভিযান চলমান রেখেছে উদ্ধারকারী দলগুলো।
এদিকে সাবমেরিনটিতে যে পরিমাণ অক্সিজেন মজুত থাকে, তা দিয়ে ৯৬ ঘণ্টা পানির নিচে টিকে থাকা যায়। সে অনুযায়ী, সাবমেরিনটি অক্ষত থাকলে যাত্রীরা আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা অক্সিজেন সরবরাহ পাবেন।
সাবমেরিনটির অক্সিজেন ফুরিয়ে গেলে কী হবে? এ বিষয়ে জানতে নিউফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জনসের মেমোরিয়াল ইউনিভার্সিটির হাইপারবারিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. কেন লেডেজের সঙ্গে কথা বলেছেন বিবিসির প্রতিবেদক এলোইস অ্যালানা।
তিনি বলেছেন, অক্সিজেন ফুরিয়ে যাওয়ার পর একজন ব্যক্তি কতটুকু সময় বেঁচে থাকতে পারেন, তা ওই ব্যক্তির মেটাবোলিজমের ওপর নির্ভর করে।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি বাতি বন্ধ করার মতো নয়। এটি একটি পাহাড়ে আরোহণের মতো। ’
‘তারা তাদের অক্সিজেন কম খরচ করতে যা যা পারবেন করবেন। তারা বিশ্রাম করবেন। যতটা সম্ভব স্বাচ্ছন্দ্য এবং শান্ত থাকার চেষ্টা করবে। ’
অত্যধিক কার্যকলাপ মেটাবোলিজম বাড়ার কারণ হতে পারে। যা আরও কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি করতে পারে। এতে অক্সিজেনের প্রয়োজন বেশি হবে। তারা হাইপোথার্মিয়ায় ভুগতে পারেন।
একটি সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে ডা. কেন লেডেজে বলেন, ‘যদি তাদের শরীর যথেষ্ট ঠান্ডা হয়ে যায় এবং তারা যদি চেতনা হারিয়ে ফেলেন, তবে এটির মধ্য দিয়ে বাঁচতে পারেন... শরীর ও মস্তিষ্ক ঠান্ডা হলে হার্টবিট সত্যিই ধীর হতে পারে। ’
এভাবে কী সাবমেরিনে থাকা যাত্রীরা এক সপ্তাহ বাঁচতে পারবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এতে আমার সন্দেহ আছে। কিন্তু একে অন্যের চেয়ে বেশি সময় বাঁচতে পারেন। ’
উত্তর আটলান্টিকে ডুবে যাওয়া টাইটানিকের অবশিষ্ট অংশ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সাবমেরিনটি। এই সাবমেরিনে পাঁচ যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। ওশান গেট এক্সপিডিশন নামে একটি সংস্থার উদ্যোগে ওই অভিযান শুরু হয়েছিল। ২১ ফুট লম্বা একটি সাবমেরিন নিয়ে বেরিয়েছিলেন তারা।
সূত্র- বিবিসি
বাংলাদেশ সময়: ১১১৮ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২৩
এমএইচএস