রাশিয়ার মস্কোতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনের সামিট। প্রতিবার এতে যত দেশ যোগ দেয়, এবার তাদের অনেকেই যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এই সামিট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। যুদ্ধের মধ্যেই সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে সামিটটির আয়োজন করেছে রাশিয়া।
২০১৯ সালে শেষবার এ সামিট হয়। সেখানে আফ্রিকার দেশগুলো থেকে ৪৫ জন সদস্য যোগ দিয়েছিলেন। এ বছর সেখানে যোগ দিচ্ছেন মাত্র ১৭ জন সদস্য।
মস্কোর বক্তব্য, পশ্চিমারা আফ্রিকার দেশগুলোকে ভয় দেখিয়ে সামিটে যোগ দিতে দিচ্ছে না। রাশিয়ার সঙ্গে এই সামিতে যোগ দিলে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হতে পারে, এমন ভয়ে আছে দেশগুলো। যদিও পশ্চিমারা এ কথা মানতে রাজি না।
তবে সামিটে যারা যোগ দিচ্ছে, তারাও রাশিয়াকে অস্বস্তিতে ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, সামিটের মূল আলোচনা খাদ্য সুরক্ষা ও আফ্রিকায় খাদ্য সরবরাহ নিয়ে হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বেশ কিছুদিন কার্যত অবরুদ্ধ ছিল কৃষ্ণসাগর। ইউক্রেনের সব খাদ্যশস্যবোঝাই জাহাজ আটকে পড়েছিল। পরে জাতিসংঘ এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়। রাশিয়া ইউক্রেনের জাহাজের জন্য কৃষ্ণসাগরের রাস্তা খুলে দেয়।
চলতি মাসে রাশিয়া সেই চুক্তি বাতিল করেছে। শুধু তা-ই নয়, চুক্তি বাতিলের কয়েকদিনের মধ্যে ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরে বোমাবর্ষণ করে রাশিয়া। এই বন্দর থেকেই খাদ্যশস্য জাহাজে তোলা হয়।
এদিকে রাশিয়া এই চুক্তি বাতিল করায় সংকটে পড়েছে আফ্রিকার দেশগুলো। ইউক্রেন খাদ্য সরবরাহ না করলে আফ্রিকাজুড়ে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। সামিটে এ বিষয়ে কথা বলা হবে।
অন্যদিকে রাশিয়ার বক্তব্য, মস্কো আরও কম দামে আফ্রিকাকে খাদ্যশস্য সরবরাহ করবে। অর্থাৎ, আফ্রিকা ইউক্রেনকে এই বাণিজ্য থেকে বাইরে ঠেলে দিতে চাইছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২৩
এমএইচএস