জাপানে গতকালের ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে। ভেঙেপড়া অসংখ্য বহুতল ভবনের ধ্বংসাবশেষ, ধারাবাহিক আফটার শক এবং বড় বড় ফাটল ধরা রাস্তার কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে।
জেএমএ বলছে ভূমিকম্প গুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৬। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার সকালের দিকেও বেশ কয়েকবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেএমএ।
ভূমিকম্পে সুজু শহরতলিতে প্রায় ১ হাজার বাড়ি-ঘর ভেঙেপড়েছে। এলাকাটিতে ১৫ জন নিহত হঅয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভূমিকম্পের ভয়াবহতা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এই দুর্যোগে আক্রান্ত অধিসাবীদের বাঁচাতে সময়ের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। সরকার পরিস্থিতি মূল্যায়ন এবং সহায়তা দেওয়ার জন্য ইশিকাওয়াতে একটি জরুরি দুর্যোগ স্থানীয় রেসপন্স সদর দপ্তর স্থাপন করেছে।
জাপানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম গুলো বলছে, ১৫৫ টি ভূমিকম্পের প্রায় সবগুলোই রিখটার স্কেলে ৩ মাত্রার ওপরে। তীব্র ভূমিকম্পের কারণে বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়ে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। ভূমিকম্প উপদ্রুত ইশিকাওয়া প্রিফেকচারে প্রায় ৩৩ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। ভূমিকম্পের সময় বিদ্যুৎ স্ফুলিঙ্গ থেকে সৃষ্ট আগুনেও বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জাপান টাইমস।
এর আগে, গতকাল সোমবার বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে জাপানের নতো অঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এই ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের পরপরই সুনামির আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। প্রাথমিকভাবে অবশ্য ভূমিকম্পের মাত্রা বলা হয়েছে ৭ দশমিক ৪।
ভূমিকম্পের তীব্রতার কারণে দেশটির রাজধানী টোকিও থেকেও এর কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানাগেছে। ভূমিকম্পের ১০ মিনিটের মধ্যেই ১২ ফুট উচ্চতার একটি ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে দেশটির ইশিকাওয়া প্রিফেকচারের ওয়াজিমা বন্দরে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২৪
এমএম