ভারতের ৫৪৩টি লোকসভা আসনের জন্য ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচন সাত দফায় অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে চলবে ১ জুন পর্যন্ত।
দেশটির মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার শনিবার এ ঘোষণা দেন।
সিকিম, ওড়িশা, অরুণাচল প্রদেশ ও অন্ধ্রপ্রদেশে একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন হবে। ২০১৮ সাল থেকে রাষ্ট্রপতি শাসনের অধীনে থাকা জম্মু ও কাশ্মীর এই তালিকায় ছিল না।
লোকসভা ভোটের পরেই জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নিরাপত্তারক্ষীর অভাবে একসঙ্গে নির্বাচন সম্ভব হয়নি উল্লেখ করে রাজীব কুমার বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রত্যেক সদস্যকে নিরাপত্তা দিতে হবে কমিশনকে।
বিহার, গুজরাট, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং তামিলনাড়ুসহ একাধিক রাজ্যের ২৬টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তারিখ ঘোষণার সময় রাজীব কুমার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া খবর ছড়ানোর বিষয়ে একটি কড়া বার্তা দিয়ে বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত সোশ্যাল মিডিয়ায় দায়িত্বশীল আচরণ নিশ্চিত করা।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ভুয়া খবর কঠোরভাবে মোকাবেলা করার কথা বলেন তিনি। এছাড়া জানান, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯(৩)(বি) ধারায় প্রতিটি রাজ্যের নোডাল অফিসারদের বেআইনি কনটেন্ট সরানোর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
আরও একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়েছেন তিনি। তা হলো ঘৃণ্য বক্তৃতার ক্ষেত্রে মডেল কোড লঙ্ঘনের বিষয়ে। তিনি বলেন, ইস্যুভিত্তিক প্রচার হওয়া উচিত, ঘৃণামূলক ভাষণ নয়, জাতপাত বা ধর্মের ভিত্তিতে কোনও বক্তৃতা নয়, কারও ব্যক্তিগত জীবনের সমালোচনা করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমকে স্পষ্ট করতে হবে, তারা যখন রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচার করে, তখন তা সংবাদ হিসেবে ছদ্মবেশ ধারণ করতে পারে না। অর্থাৎ সংবাদের আড়ালে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না। এ বিষয়ে প্রার্থীদের কাছে পৃথক বার্তা পাঠানো হবে।
৮৫ বছরের বেশি বয়সী ভোটার এবং ৪০ শতাংশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বাড়ি থেকে ভোট দিতে পারবেন। প্রায় ৮২ লক্ষ ভোটারের বয়স ৮৫ বছরের বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৪
নিউজ ডেস্ক