পাকিস্তানের সেনাবাহিনীতে পরিচয় লুকিয়ে চাকরি নিয়েছিলেন আফগান নাগরিকরা। পাকিস্তানে বসবাসকারী এই আফগান নাগরিকদের মধ্যে দুজন আবার পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন এবং লেফটেন্যান্ট পদেও পৌঁছে গিয়েছিলেন।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ডনকে দেওয়া এক সক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, পাকিস্তানে বসবাসকারী আফগান নাগরিকরা সেনাবাহিনীতে চাকরি পেয়েছিল এবং তাদের বরখাস্ত করার আগে একজন ক্যাপ্টেন পদেও পৌঁছে গিয়েছিলেন।
তিনি জানান, আগের সরকারের মেয়াদে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালনের সময় তিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত আফগান নাগরিকদের বরখাস্ত করার ফাইলে সই করেছিলেন।
এসময় তিনি আরও জানান, বরখাস্তকৃত এক আফগান নাগরিকের বাবা তার কাছে চিঠি লিখে দাবি করেছেন, তার ছেলে আফগান নাগরিক হলে সে অনেক বছর ধরে পাকিস্তানে বসবাস করছেন এবং কোয়েটায় সম্পত্তি ও ব্যবসাও প্রতিষ্ঠা করেছেন।
সক্ষাৎকারে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান সীমান্তের ডুরান্ড লাইনের নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করে খাজা আসিফ বলেন, সারা বিশ্বে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে অভিন্ন সীমান্তে অলঙ্ঘনীয়তা রয়েছে। কিন্তু ডুরান্ড লাইনের কোনো অলঙ্ঘনীয়তা নেই। কেউ চাইলেই আমাদের দেশে প্রবেশ করতে পারে, বছরের পর বছর এখানে থাকতে পারে, আইডি কার্ড পেতে পারে এবং এমনকি সেনাবাহিনীতেও যোগ দিতে পারে।
এসময় পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভারতের সঙ্গে থাকা সীমান্তের মতো পাক-আফগান সীমান্তেও নিরাপত্তা প্রোটোকল চান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৪
এমএম