ইরানের হামলার আশঙ্কায় মার্কিন কর্মীদের ইসরায়েল ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস বলছে, বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবে মার্কিনীদের বৃহত্তর জেরুজালেম, তেল আবিব বা বেয়ের শেভা এলাকার বাইরে ভ্রমণ না করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছিলেন, আমরা মধ্যপ্রাচ্যে এবং বিশেষত ইসরায়েলে বিদ্যমান নিরাপত্তা হুমকি পর্যবেক্ষণ করছি, তবে এই ব্যাপারে ‘নির্দিষ্ট মূল্যায়ন’ এখানে প্রকাশ করব না।
নিরাপত্তার হুমকি নিয়ে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন অভিযানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার এরিক কুরিলা বর্তমানে ইসরায়েল ভ্রমণ করছেন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট তার মার্কিন প্রতিপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন, ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ‘যে কোনও সরাসরি ইরানি হামলা’ হলে ‘ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যথাযথ প্রতিক্রিয়া’ প্রয়োজন হয়ে পড়বে। খবর বিবিসি
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরও ইসরায়েল ভ্রমণে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা হালনাগাদ করেছে যেখানে ইরান থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আক্রমণের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে এবং এই ধরনের আক্রমণ আরও ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রসচিব লর্ড ক্যামেরন ইতোমধ্যে তার ইরানি প্রতিপক্ষকে ফোন করে উত্তেজনা বৃদ্ধির বিপক্ষে আহ্বান জানিয়েছেন। ক্যামেরন বলেন, তিনি আলোচনায় স্পষ্ট করেছেন ইরান যেন মধ্যপ্রাচ্যকে বৃহত্তর সংঘাতের দিকে টেনে না নেয়।
১১ দিন আগে সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে এক বোমা হামলায় ১৩ জন নিহত হওয়ার পর ইরান প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই হামলায় নিহতদের তালিকায় সিরিয়া ও লেবাননে ইরানের এলিট কুদস ফোর্সের একজন সিনিয়র কমান্ডার এবং অন্যান্য সামরিক ব্যক্তিত্বও রয়েছে। যদিও দূতাবাসে হামলার দায় স্বীকার করেনি ইসরায়েল তবে এর পিছনে তাদেরই হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৪
এমএম