ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পাঁচটি ইউনিট বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পৃথক ঘটনায় সংঘটিত এই সব ঘটনা বর্তমান যুদ্ধের আগে গাজার বাইরে অধিকৃত পশ্চিমতীর ও জেরুজালেমে সংঘটিত হয়েছিল।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল জানান, ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর পাঁচটি ইউনিট চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এই ইউনিটগুলোর মধ্যে চারটি কার্যকরভাবে এই ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, যা আমরা অংশীদাররা প্রত্যাশা করি। বাকি ইউনিটটি সম্পর্কে আমরা ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে তারা এই বিষয়ে অতিরিক্ত তথ্য জমা দিয়েছে।
মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত এই ইউনিটটি নেতজাহ ইয়াহুদা ব্যাটালিয়ন বলে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত শুধু পুরুষদের নিয়ে একটি বিশেষ ইউনিট যেখানে অতি-অর্থোডক্স ইহুদিরা কাজ করে।
২০২২ সালে ইসরায়েলি সেনাদের নির্যাতনে ৮০ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি-আমেরিকান ওমর আসাদের মৃত্যু হয়েছিল। পশ্চিম তীরের একটি গ্রামে সৈন্যরা তাকে বেঁধে নির্যাতন করে হত্যা করে। সেই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে পুঙ্খানুপুঙ্খ অপরাধ তদন্ত এবং সম্পূর্ণ জবাবদিহিতার আহ্বান জানায়।
তবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করলেও সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়ায় ইসরায়েলে মার্কিন সামরিক সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্যাটেল।
১৯৯৭ সালের ‘লেহি আইন’ এর অধীনে, একটি বিদেশি সামরিক ইউনিট মানবাধিকারের চরমভাবে লঙ্ঘন করলে তাদের মার্কিন সামরিক সহায়তা থেকে বাদ দেওয়া যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৩৮০ কোটি ডলারের অস্ত্র ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পায় ইসরায়েল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
এমএম