মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরে জাতিসংঘের একটি স্কুলে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছে। এর আগে হামলায় কমপক্ষে ৩২ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল।
শুক্রবার (৭ জুন) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্কুলটিতে শত শত বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। ইসরায়েল এই হামলার কথা স্বীকার করেছে।
একটি যুদ্ধবিমান থেকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র জাতিসংঘের স্কুলটির সবচেয়ে ওপরের তলার দুটি শ্রেণিকক্ষে আঘাত হানে। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে ঘটনাস্থলের ধ্বংসযজ্ঞ আর রক্ত আর ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডাব্লিউএর স্কুলে ইসরায়েলকে ভয়ংকর হত্যাযজ্ঞ চালানোর জন্য অভিযুক্ত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
হামলার পর উদ্ধারকারীরা হতাহতদের নিকটস্থ দেইর আল বালাহ শহরের হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। হামাস জানায়, নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরে জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলটিতে হামলায় নিহতদের মধ্যে ১৪ শিশু ও ৯ নারী রয়েছেন। এ ঘটনায় ৭০ জনের বেশি আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৩ শিশু ও ১৮ নারী রয়েছেন।
এদিকে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে আন্তর্জাতিক বিচারালয়ে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যা চালানোর মামলায় দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে যোগ দিচ্ছে স্পেন। এর আগে চিলি ও মেক্সিকো এই মামলায় দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে যোগ দেয়।
অন্যদিকে গাজায় সংঘাত অবসানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তুলে ধরা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিষয়ে একটি মিলিত বিবৃতি তুলে ধরেছে হোয়াইট হাউস। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রিয়া, ব্রাজিল, বুলগেরিয়া, কানাডা, কলম্বিয়া, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, সার্বিয়া, স্পেন, থাইল্যান্ডের নেতারা বিবৃতিতে সমর্থন জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২৪
এমজে