২০১৮ সালে একটি হ্যান্ডগান কেনেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনপুত্র হান্টার বাইডেন। অস্ত্র কেনার সময়ই নিজের মাদকাসক্তি নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেন।
মঙ্গলবার (১১ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যের একটি আদালত এ–বিষয়ক ফৌজদারি অপরাধের তিনটি অভিযোগেই তাকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিয়েছেন। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হান্টার বাইডেনের সর্বোচ্চ ২৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
বাইডেনপুত্রের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ, আগ্নেয়াস্ত্র কেনার সময় তিনি মিথ্যা তথ্য দেন। দ্বিতীয় অভিযোগ, অস্ত্র বিক্রেতার নথিপত্রেও মিথ্যা তথ্য থাকার বন্দোবস্ত করেন। তৃতীয় অভিযোগ হলো, হান্টার বাইডেন অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র কাছে রেখেছিলেন।
এ মামলায় বলা হয়, ২০১৮ সালে একটি হ্যান্ডগান কিনেছিলেন হান্টার বাইডেন। সেই অস্ত্র কেনার সময়ই নিজের মাদকাসক্তি নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন তিনি।
মাদকাসক্তি ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে হান্টার বাইডেনকে। দীর্ঘদিন ধরে এসব বিষয় নিয়ে তাকে ভুগতেও হয়েছে। ২০১৮ সালে কোকেনে আসক্তির কথা স্বীকার করেন হান্টার।
২০১৫ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান হান্টারের বড় ভাই বিউ বাইডেন। হান্টার বাইডেন তার আত্মজীবনী ‘বিউটিফুল থিংস’-এ লিখেছেন, ভাইয়ের মৃত্যুর পর তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। ২০১৯ সালে হান্টার মাদক ছাড়েন।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, দেশটির নাগরিকদের অস্ত্র কেনার অধিকার রয়েছে। কিন্তু অস্ত্র কেনার সময় একজন ব্যক্তিকে আবেদনপত্রে অবশ্যই এটা উল্লেখ করতে হবে যে তিনি মাদকে আসক্ত কি না।
এ মামলায় হান্টার বাইডেনের সর্বোচ্চ ২৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। আগ্নেয়াস্ত্র কেনার সময় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার জন্য তার সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। অস্ত্র বিক্রেতার নথিতে মিথ্যা তথ্য সন্নিবেশের অপরাধে সর্বোচ্চ ৫ বছর এবং মাদকাসক্ত অবস্থায় অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র রাখায় তার সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
সূত্র: বিবিসি
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৪
জেএইচ