ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, দক্ষিণ গাজায় খান ইউনিসে এক অভিযান চালানোর সময় পাঁচ ইসরায়েলির মরদেহ পেয়েছে। খবর আল জাজিরার।
বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক মায়া গোরেনের পাশাপাশি সেনাসদস্য টমার আহিমাস, কিরিল ব্রোডস্কি, রাভিদ কাৎজ ও ওরেন গোল্ডিনের মরদেহ পাওয়া গেছে।
ইসরায়েলি বাহিনী তাদের আগেই মৃত ঘোষণা করেছিল।
ইসরায়েলি আর্মি রেডিওর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নির ওজ নামক কিবুৎজে (ইসরায়েলি সম্প্রদায়ের বাস করার স্থান) হামাসের হামলায় নিহত হন।
বাকিরা ৭ অক্টোবর সংঘর্ষে নিহত হন বলে জানায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। নিহতদের মধ্যে কাৎজ ছিলেন নির ওজ কিবুৎজ নিরাপত্তা দলের একজন সদস্য।
বুধবার খান ইউনিস থেকে ওই পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। চলতি সপ্তাহে ইসরায়েলি বাহিনী সেখানে অভিযান চালাচ্ছে।
গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনিসের বাসিন্দাদের সরে যেতে বলে। পরে সেখানে অভিযান শুরু করে। গত ৪৮ ঘণ্টায় খান ইউনিসে ১২৯ ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে।
কয়েকশ লোক আহতও হয়েছেন। সেখান থেকে প্রায় দেড় লাখ লোক পালিয়ে গেছেন।
এদিকে মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ভাষণে তিনি বলেছেন, তার সরকার অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তির জন্য সক্রিয়ভাবে নিবিড় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে আট মার্কিন জিম্মির পরিবার যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, নেতানিয়াহু জিম্মি বাড়ি ফেরার নিশ্চয়তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে তারা “গভীরভাবে” হতাশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২৪
আরএইচ