মিয়ানমারে চলমান বন্যায় ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও ৮৯ জন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব মিয়ানমারে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় নাইপিদো, বাগো, মান্দালয় ও আইয়াওয়াদির ৬৪টি শহরতলির ৪৬২টি গ্রাম ও ওয়ার্ডসহ মন, কায়িন ও শান প্রদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত সপ্তাহান্তে মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, লাওস, থাইল্যান্ডসহ পুরো অঞ্চলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ইয়াগি। এই চারটি দেশের সরকারি হিসাব, ঘূর্ণিঝড় ইয়াগি ও একে কেন্দ্র করে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৩৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার মিয়ানমারের জান্তা সরকার বলেছিল, মৃতের সংখ্যা ৩৩। ২ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ৬৫ হাজারের বেশি বাড়ি ও পাঁচটি বাঁধ ধ্বংস হয়েছে। অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলমান আছে।
এই বন্যার মধ্যেই মিন অং হ্লাইং ঘোষণা দিয়েছেন এই মাসেই জান্তা তার হারানো এলাকাগুলো পুনরুদ্ধার করবে। সেই লক্ষে বিমান হামলা বাড়িয়েছে তারা। এই বিমান হামলাগুলোতে বিদ্রোহীদের হাতে বন্দি জান্তা সেনাসহ শতাধিক নিহত হয়েছে। যাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।
এই হামলার বিষয়ে মিয়ানমার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতী তাদের এক প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছে পাশের দেশ থাইল্যান্ডে বন্যার সময় আক্রান্ত থাই বিমান বাহিনী যখন আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলছে একই সময়ে জান্তা বাহিনী ফেলছে বোমা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪
এমএম