ঢাকা: ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ বিভাগে কোনো নারীকে যোগ দিতে হলে তাকে অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে এবং অবিবাহিত কি না তা প্রমাণ করতে তাকে পাস করতে হবে ‘সতীত্ব পরীক্ষা‘ বা ভার্জিনিটি টেস্টে। আর ‘অক্ষতযোনি’র বিষয়টি প্রমাণ করতে পুলিশে যোগদানেচ্ছু নারীদের যেতে হয় কুখ্যাত ‘দুই আঙ্গুল’ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে।
এতদিন ধরে এই প্রক্রিয়া ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ বিভাগে চলে আসলেও এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই ভার্জিনিটি টেস্ট বাতিলের জন্য ইন্দোনেশিয়ার পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ওই পরীক্ষায় অংশ নেয়া এক ইন্দোনেশীয় তরুণী জানায়, আমি এ রকম খারাপ অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করতে চাই না। কেন আমরা অপরিচিত মানুষের সামনে আমাদের কাপড় খুলবো।
নিজেদের প্রতিবেদনে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীর সাক্ষাৎকার তুলে ধরে। সেখানে ভুক্তভোগীরা পুরো প্রক্রিয়াকে ‘বেদনাময় ও অপমানজনক’ বলে উল্লেখ করেন।
নারীরা এ সময় বর্ণনা দেন, কিভাবে জোর করে নারী চিকিৎসকের সামনে উলঙ্গ করা হয় পুলিশে যোগদানে ইচ্ছুক নারীদের। এর পর তাদের ওপর চালানো হয় দুই অাঙ্গুলের পরীক্ষা। যাকে অপমানজনক এবং মধ্যযুগীয় বলে অভিহিত করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
এ ব্যাপারে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের নারী অধিকার বিষয়ক সহযোগী পরিচালক নিশা ভারিয়া এই সতীত্ব পরীক্ষাকে ‘বৈষম্য’ উল্লেখ করে একে নারীদের জন্য অসম্মানজনক হিসেবে উল্লেখ করেন।
নারীরা ইন্দোনেশিয়ার ৪ লাখ সদস্যের বাহিনীর মাত্র তিন শতাংশ জুড়ে আছে। জনসংখ্যার বিচারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার সমাজ এখনও রক্ষণশীল এবং নারীদের সতীত্বকে সেখানে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৪